top ad image
top ad image
home iconarrow iconমাঠের রাজনীতি

ফরিদপুরে আ. লীগ নেতা মতি কাজী গ্রেপ্তার

ফরিদপুরে আ. লীগ নেতা মতি কাজী গ্রেপ্তার

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে মতি কাজী (৪৫) নামে আওয়ামী লীগ নেতাকে বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে স্থানীয় থানা পুলিশ।

শনিবার (৩ মে) দুপুরে মতি কাজীকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান।

এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যার আগে উপজেলার সদর ইউনিয়নের সোতাশী গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

তিনি বোয়ালমারী সদর ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক, ওই ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের দুইবারের সাবেক ইউপি সদস্য ও সোতাশি গ্রামের দাউদ কাজীর ছেলে। তার বিরুদ্ধে গত ২৫ মার্চ আব্দুর রহিম নামে একজন বাদী হয়ে বোয়ালমারী থানায় বিএনপি-জামায়াত কর্মীদের বাড়িরঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগে মামলা করেন।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ফরিদপুরে বোয়ালমারী উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা মতি কাজীর বাড়িতে গত ২৪ মার্চ ফরিদপুর জেলা মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি টিম অভিযান চালিয়ে ৫০০ ইয়াবা মাদকদ্রব্য উদ্ধার করে। তবে অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে মতি কাজী পালিয়ে গেলেও মতি কাজীর ভাই ইসলাম কাজীকে আটক করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। এ সময় ইসলাম কাজীর কাছে কোনো কিছু না পেয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ওইদিন রাতেই মতি কাজীর নেতৃত্বে ২০-৩০ জনের একটি দল বিএনপি সমর্থকদের একাধিক বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়ে বিএনপি ও জামায়াতের দুই কর্মীকে পিটিয়ে মারাত্মক আহত করে।

জানা গেছে, হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনার গত ২৫ মার্চ মতি কাজীর বিচারের দাবিতে সোতাশী গ্রামের কয়েকশত নারী-পুরুষ ভাটিয়াপাড়া-মাঝকান্দী আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। মতি কাজীর ব্যাপারে প্রশাসনের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেন গ্রামবাসী। এ ঘটনায় সোতাশি গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রহিম বাদী হয়ে বোয়ালমারী থানায় বাড়িঘরে হামলা ও মারধরের ঘটনায় একটি মামলা করেন। মামলার পর থেকেই আত্মগোপন চলে যান আওয়ামী লীগ নেতা মতি কাজী। শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে গোপন সংবাদ ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় সোতাশি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এ ব্যাপারে বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান জানান, মতি কাজীকে হামলা, লুটপাট ও মারধরের মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে একটি জিআর মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে মাদক কারবারের অভিযোগ রয়েছে। মাদক মামলা থাকলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর শোন এরেস্ট দেখাবেন। শনিবার আসামিকে ফরিদপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে।

r1 ad
top ad image