তারেক রহমানকে বেশি গুরুত্ব দিলে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নষ্ট হবে: ইসলামী আন্দোলন

প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
প্রকাশ: ১২ জুন ২০২৫, ২১: ২৫
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ

লন্ডন সফররত প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠক এখন রাজনৈতিক অঙ্গনের অন্যতম আলোচিত ইস্যু। তবে তারেক রহমানকে প্রধান উপদেষ্টা বেশি গুরুত্ব দিলে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নষ্ট হবে বলে মনে করছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।

বৃহস্পতিবার (১২ জুন) বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান এ ব্যাপারে দলের বক্তব্য তুলে ধরেন।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড গুরুত্বপূর্ণ। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড একটি বহুমাত্রিক রাজনৈতিক, প্রশাসনিক, মনস্তাত্ত্বিক ও নিরাপত্তা সম্পর্কিত বিষয়। প্রধান উপদেষ্টার লন্ডন সফরে একটি নির্দিষ্ট দলের প্রধানকে যেভাবে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে, তাতে রাজনৈতিক ও মনস্তাত্ত্বিকভাবে দেশের পরিস্থিতি সে দলের প্রতি ঝুঁকে যাবে কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

এ ধরনের ঘটনা স্পষ্টত লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নষ্ট করবে উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রের স্বার্থে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে নিরপেক্ষ আচরণ প্রত্যাশা করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।

গাজী আতাউর রহমান বলেন, বিএনপি দেশের প্রধানতম দল। ফলে রাজনীতিতে তাদের মতামত ও তাদের দলীয় প্রধানের গুরুত্ব থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময় বিএনপি ও তাদের দলীয় প্রধানের মতামতকে গুরুত্ব দিয়েই নানা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, কিন্তু প্রধান উপদেষ্টার লন্ডন সফরে বিএনপির দলীয় প্রধানের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ আয়োজনে সরকারের পক্ষ থেকে তোড়জোর, সাক্ষাতে তার অনুমোদন এবং তা নিয়ে দেশের রাজনীতি ও মিডিয়ায় যেভাবে উচ্চমাত্রা চড়ানো হচ্ছে, তাতে দেশে রাজনীতিতে একক ব্যক্তিকেন্দ্রীকতার অনাকাঙ্ক্ষিত বহিঃপ্রকাশ ঘটছে।

ইসলামী আন্দোলনের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে ৫৪ বছর আগে। এর আগে পৌনে এক শ বছরের জাতিগত রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা আছে। ফলে দেশে একটি সমৃদ্ধ রাজনৈতিক সংস্কৃতি গড়ে উঠবে বলে জাতি আশা করেছিল। বিশেষ করে জুলাই অভ্যুত্থানের পরে একটি সুস্থ্য, সমৃদ্ধ রাজনৈতিক সংস্কৃতির প্রত্যাশা করেছিল জাতি। কিন্তু, সাম্প্রতিক সময় দেশে যে রাজনৈতিক কালচার বিরাজ করছে, তা দেশবাসীকে হতাশ করছে।

দেশবাসী আশা করে, লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকে দলীয় রাজনীতির বিশুদ্ধতা ও সংস্কারের আলাপ প্রাধান্য পাবে— উল্লেখ করা হয়েছে বিবৃতিতে।

গাজী আতাউর রহমান আরও বলেন, বিএনপি যেভাবে চাঁদাবাজি ও সহিংসতা করছে, তা নিয়ন্ত্রণে যথাযথ ভূমিকা পালনে তারেক রহমানকে প্রধান উপদেষ্টা পরামর্শ দেবেন বলেও আমরা আশা করি। সংস্কার প্রক্রিয়ায় বিএনপি যেভাবে দ্বিমত পোষণ করছে, তা নিয়েও কথা বলবেন এবং জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠায় বিএনপি আরও দায়বদ্ধ হওয়ার বিষয়টি আলোচনায় স্থান পাবে বলে দেশবাসী আশা করছে।

ad
ad

ঘরের রাজনীতি থেকে আরও পড়ুন

যে বৈঠকে বিজয়ী বাংলাদেশ

তিনি বলেন, পুরো বাংলাদেশের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির সংযোগ ঘটিয়ে, এপ্রিলের মতো অনাকাঙ্ক্ষিত সময় থেকে সরে এসে নির্বাচনের জন্য একটি যৌক্তিক সময়সীমা নির্ধারণের জন্য প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনুসকে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ। তিনি জনগণের প্রত্যাশা উপলব্ধি করে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যা নিঃসন্দেহে প্রশংসার যোগ্য।

১৪ ঘণ্টা আগে

স্থিতিশীল পরিবেশ বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি : জোনায়েদ সাকি

তিনি আরো বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সম্প্রতি যে আলোচনাগুলো হচ্ছে, আজ লন্ডনে যে বৈঠক হলো তা ইতিবাচক, আমরা এই আলোচনার উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। ঈদের আগে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বক্তব্যের পর আমরা বলেছি, বিভিন্ন বিষয় বিবেচনায় এপ্রিলের শুরুতে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত বাস্তবসম্মত নয়।

১৪ ঘণ্টা আগে

বিদেশে নির্বাচন নিয়ে বৈঠক গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার পরিপন্থি : নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী

এনসিপির এই নেতা বলেন, ‘লন্ডনে বসে একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সরকারের মিটিং দেশবাসীর স্বার্থ ও গণআকাঙ্ক্ষার সঙ্গে প্রতারণা। শহীদদের রক্তকে অবমাননা করে বিদেশের মাটিতে মিটিং আয়োজন কখনোই মেনে নেওয়া যায় না। দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে হবে দেশের জনগণের মাধ্যমে, বিদেশি আলোচনায় নয়।’

১৫ ঘণ্টা আগে

নির্বাচনের পরও দেশ গঠনে একসঙ্গে কাজ করব: আমীর খসরু

আমীর খসরু বলেন, আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে সামনের দিকে এগোচ্ছি। আমরা চাই, দেশ গড়ার যে প্রত্যয় আমরা নিয়েছি, আমরা সবাই মিলে ঐকবদ্ধভাবে সেই কাজটি করব। শুধু নির্বাচনের আগে নয়, নির্বাচনের পরেও বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়কে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাব।

১৬ ঘণ্টা আগে