অরুণাভ বিশ্বাস
খ্রিস্টপূর্ব ৩১ সালের ২ সেপ্টেম্বর গ্রিসের পশ্চিম উপকূলে আয়োনিয়ান সাগরের এক ছোট জায়গায় ইতিহাসের মোড় ঘোরানো এক নৌযুদ্ধ হয়েছিল। নাম তার ব্যাটল অব অ্যাক্টিয়াম। এই যুদ্ধ শুধু দুই সেনাপতির লড়াই ছিল না, বরং রোমান সাম্রাজ্যের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করেছিল। কারো কাছে এটি এক প্রেমের ট্র্যাজেডি, আবার কারো কাছে এটি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র আর সামরিক দক্ষতার জয়। মার্ক অ্যান্টনি ও মিশরের রানি ক্লিওপেট্রা একপাশে, আরেকপাশে অক্টাভিয়ান—যিনি পরে রোমের প্রথম সম্রাট অগাস্টাস নামে পরিচিত হন।
অ্যাক্টিয়ামের যুদ্ধ বুঝতে হলে রোমান সাম্রাজ্যের তৎকালীন অবস্থা জানা দরকার। খ্রিস্টপূর্ব ৪৪ সালে জুলিয়াস সিজারের হত্যা হওয়ার পর রোমান রিপাবলিকের ক্ষমতা কার্যত তিনজন নেতার হাতে আসে। এরা ছিলেন অক্টাভিয়ান, মার্ক অ্যান্টনি ও লেপিডাস। ইতিহাসে যাদের সেকেন্ড ট্রাইয়ুমভিরেট বলা হয়। প্রথমে এরা মিলে ক্ষমতা ভাগাভাগি করলেও ধীরে ধীরে ভেতরে ভেতরে দ্বন্দ্ব বাড়তে থাকে। লেপিডাস পরে sidelined হয়ে যান, আর বাকি দুজন—অক্টাভিয়ান ও অ্যান্টনি—রোমের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সংঘাতে জড়িয়ে পড়েন।
মার্ক অ্যান্টনি মূলত পূর্ব দিকের প্রদেশগুলো শাসন করতেন। তিনি মিশরের রানি ক্লিওপেট্রার সঙ্গে রাজনৈতিক জোট বাঁধেন এবং ব্যক্তিগত সম্পর্কও তৈরি হয়। এই সম্পর্ক রোমে অনেকের কাছে সন্দেহজনক হয়ে ওঠে। অ্যান্টনিকে অভিযুক্ত করা হয় যে তিনি রোমের স্বার্থ বাদ দিয়ে মিশরের স্বার্থকে গুরুত্ব দিচ্ছেন। অন্যদিকে অক্টাভিয়ান রোমের সেনেট ও সাধারণ নাগরিকদের আস্থা অর্জন করতে থাকেন। তিনি নিজেকে রোমের ঐতিহ্য ও নিরাপত্তার রক্ষক হিসেবে উপস্থাপন করেন। ফলে সংঘর্ষ অনিবার্য হয়ে ওঠে।
খ্রিস্টপূর্ব ৩১ সালের গ্রীষ্মে দুই পক্ষ তাদের বিশাল নৌবহর নিয়ে গ্রীসের উপকূলে মুখোমুখি হয়। অ্যান্টনি ও ক্লিওপেট্রার নৌবহর ছিল প্রায় ৫০০ জাহাজের, কিন্তু সেগুলো বড়, ভারী ও ধীরগতির। অপরদিকে অক্টাভিয়ানের সেনাপতি মার্কাস ভিপসানিয়াস আগ্রিপ্পার নেতৃত্বে প্রায় ৪০০ জাহাজ ছিল, যেগুলো ছোট, দ্রুতগামী এবং যুদ্ধকৌশলে বেশি কার্যকর।
২ সেপ্টেম্বর সকালে যখন যুদ্ধ শুরু হয়, তখন পরিস্থিতি নাটকীয় মোড় নেয়। আগ্রিপ্পার জাহাজগুলো দ্রুতগতির আক্রমণে অ্যান্টনির বহরকে ঘিরে ফেলে। ইতিহাসবিদরা লিখেছেন, যুদ্ধ চলাকালে হঠাৎ ক্লিওপেট্রা তার ৬০টি জাহাজ নিয়ে সরাসরি যুদ্ধক্ষেত্র ছেড়ে মিশরের দিকে পালিয়ে যান। কেন তিনি এটা করেছিলেন তা নিয়ে আজও বিতর্ক আছে। অনেকে বলেন, তিনি যুদ্ধের ফল খারাপ হবে বুঝতে পেরেছিলেন। আবার অনেকে মনে করেন, শুরু থেকেই পালানোর পরিকল্পনা ছিল। ক্লিওপেট্রার এই পদক্ষেপে অ্যান্টনির মনোবল ভেঙে যায়। তিনি নিজেও কয়েকটি জাহাজ নিয়ে তার পিছু নেন, ফলে মূল যুদ্ধক্ষেত্রে থাকা রোমান সৈন্যরা নেতৃত্বহীন হয়ে পড়ে। এই সুযোগে আগ্রিপ্পার নেতৃত্বে অক্টাভিয়ানের নৌবাহিনী বিশাল জয় পায়।
অ্যাক্টিয়ামের যুদ্ধের ফল ছিল সুদূরপ্রসারী। অ্যান্টনি ও ক্লিওপেট্রা পালিয়ে গেলেও এক বছর পর মিশরে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হন। অক্টাভিয়ান অপ্রতিদ্বন্দ্বী শাসক হয়ে ওঠেন। খ্রিস্টপূর্ব ২৭ সালে তিনি "অগাস্টাস" উপাধি পান এবং আনুষ্ঠানিকভাবে রোমান সাম্রাজ্যের প্রথম সম্রাট হিসেবে ইতিহাসে জায়গা করে নেন। অ্যাক্টিয়ামের যুদ্ধ তাই শুধু একটি নৌযুদ্ধ নয়, বরং রোমান রিপাবলিকের সমাপ্তি ও রোমান সাম্রাজ্যের সূচনা।
ব্রিটিশ ইতিহাসবিদ ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাচীন রোমের বিশেষজ্ঞ, অ্যান্ড্রু ওয়ালেস-হ্যাড্রিল, যিনিলিখেছেন, “অ্যাক্টিয়ামের যুদ্ধ আসলে রোমের ভবিষ্যৎ ঠিক করেছিল। যদি অ্যান্টনি জিততেন, তবে হয়তো রোম আর ইউরোপ নয়, বরং আলেকজান্দ্রিয়া থেকে পরিচালিত হতো। অক্টাভিয়ানের জয় মানে ছিল পশ্চিমা সভ্যতার গতিপথ নির্ধারিত হয়ে যাওয়া।”
প্রাচীন সামরিক ইতিহাসের খ্যাতনামা লেখক অ্যাড্রিয়ান গোল্ডসওয়ার্দি বলেন:
“অক্টাভিয়ানের প্রকৃত শক্তি ছিল তার সেনাপতি আগ্রিপ্পা। যুদ্ধকৌশল, সমুদ্রযাত্রার অভিজ্ঞতা আর শত্রুকে ক্লান্ত করে ফেলার পরিকল্পনা—সবকিছু মিলে আগ্রিপ্পা যুদ্ধের ভাগ্য নির্ধারণ করেন। অ্যান্টনির পরাজয় আসলে সামরিক ব্যর্থতার চেয়ে নেতৃত্বের ব্যর্থতা।”
অন্যদিকে জার্মান ইতিহাসবিদ ক্রিস্টিয়ান মেইয়ার উল্লেখ করেন: “অ্যাক্টিয়ামের যুদ্ধকে শুধু সামরিক সংঘর্ষ বলে দেখলে ভুল হবে। এটি ছিল এক রাজনৈতিক নাটক, যেখানে প্রেম, বিশ্বাসঘাতকতা ও ক্ষমতার দ্বন্দ্ব সব একসাথে মিশে গিয়েছিল। অক্টাভিয়ান শুধু যুদ্ধ জয় করেননি, তিনি প্রচারণার যুদ্ধও জিতেছিলেন। তিনি রোমের জনগণকে বোঝাতে পেরেছিলেন যে, তিনি রোমের রক্ষক।”
এই গবেষকদের মন্তব্য প্রমাণ করে যে অ্যাক্টিয়ামের যুদ্ধ কেবল সমুদ্রের ঢেউয়ের সঙ্গে জাহাজের সংঘর্ষ নয়। এটি ছিল মানসিক যুদ্ধ, রাজনৈতিক যুদ্ধ এবং ভবিষ্যতের সভ্যতার ভিত্তি স্থাপনকারী এক সিদ্ধান্তমূলক ঘটনা।
আজও অ্যাক্টিয়ামের যুদ্ধ ইতিহাসে আলোচিত হয় শুধু অ্যান্টনি ও ক্লিওপেট্রার রোম্যান্সের কারণে নয়, বরং এর ফলশ্রুতিতে গড়ে ওঠা এক বিশাল সাম্রাজ্যের জন্য। ইউরোপের রাজনীতি, সংস্কৃতি এবং পরবর্তী দুই হাজার বছরের ইতিহাস যে রোমের কেন্দ্র থেকে নিয়ন্ত্রিত হবে, তার সূচনা হয়েছিল এই ছোট্ট সাগর উপকূলে।
অতএব বলা যায়, ব্যাটল অব অ্যাক্টিয়াম ছিল এক নাটকীয় মোড়। যেখানে প্রেম, ক্ষমতা, বিশ্বাসঘাতকতা ও সামরিক কৌশল মিলে ইতিহাসকে নতুন দিক দিয়েছিল। অক্টাভিয়ানের বিজয় শুধু একজন নেতার জয় ছিল না, বরং সেটি ছিল এক যুগের সূচনা। আর অ্যান্টনি ও ক্লিওপেট্রার পরাজয় শুধু ব্যক্তিগত ট্র্যাজেডি নয়, বরং প্রমাণ যে রাজনৈতিক বাস্তবতা প্রেমের চেয়েও শক্তিশালী হতে পারে।
খ্রিস্টপূর্ব ৩১ সালের ২ সেপ্টেম্বর গ্রিসের পশ্চিম উপকূলে আয়োনিয়ান সাগরের এক ছোট জায়গায় ইতিহাসের মোড় ঘোরানো এক নৌযুদ্ধ হয়েছিল। নাম তার ব্যাটল অব অ্যাক্টিয়াম। এই যুদ্ধ শুধু দুই সেনাপতির লড়াই ছিল না, বরং রোমান সাম্রাজ্যের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করেছিল। কারো কাছে এটি এক প্রেমের ট্র্যাজেডি, আবার কারো কাছে এটি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র আর সামরিক দক্ষতার জয়। মার্ক অ্যান্টনি ও মিশরের রানি ক্লিওপেট্রা একপাশে, আরেকপাশে অক্টাভিয়ান—যিনি পরে রোমের প্রথম সম্রাট অগাস্টাস নামে পরিচিত হন।
অ্যাক্টিয়ামের যুদ্ধ বুঝতে হলে রোমান সাম্রাজ্যের তৎকালীন অবস্থা জানা দরকার। খ্রিস্টপূর্ব ৪৪ সালে জুলিয়াস সিজারের হত্যা হওয়ার পর রোমান রিপাবলিকের ক্ষমতা কার্যত তিনজন নেতার হাতে আসে। এরা ছিলেন অক্টাভিয়ান, মার্ক অ্যান্টনি ও লেপিডাস। ইতিহাসে যাদের সেকেন্ড ট্রাইয়ুমভিরেট বলা হয়। প্রথমে এরা মিলে ক্ষমতা ভাগাভাগি করলেও ধীরে ধীরে ভেতরে ভেতরে দ্বন্দ্ব বাড়তে থাকে। লেপিডাস পরে sidelined হয়ে যান, আর বাকি দুজন—অক্টাভিয়ান ও অ্যান্টনি—রোমের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সংঘাতে জড়িয়ে পড়েন।
মার্ক অ্যান্টনি মূলত পূর্ব দিকের প্রদেশগুলো শাসন করতেন। তিনি মিশরের রানি ক্লিওপেট্রার সঙ্গে রাজনৈতিক জোট বাঁধেন এবং ব্যক্তিগত সম্পর্কও তৈরি হয়। এই সম্পর্ক রোমে অনেকের কাছে সন্দেহজনক হয়ে ওঠে। অ্যান্টনিকে অভিযুক্ত করা হয় যে তিনি রোমের স্বার্থ বাদ দিয়ে মিশরের স্বার্থকে গুরুত্ব দিচ্ছেন। অন্যদিকে অক্টাভিয়ান রোমের সেনেট ও সাধারণ নাগরিকদের আস্থা অর্জন করতে থাকেন। তিনি নিজেকে রোমের ঐতিহ্য ও নিরাপত্তার রক্ষক হিসেবে উপস্থাপন করেন। ফলে সংঘর্ষ অনিবার্য হয়ে ওঠে।
খ্রিস্টপূর্ব ৩১ সালের গ্রীষ্মে দুই পক্ষ তাদের বিশাল নৌবহর নিয়ে গ্রীসের উপকূলে মুখোমুখি হয়। অ্যান্টনি ও ক্লিওপেট্রার নৌবহর ছিল প্রায় ৫০০ জাহাজের, কিন্তু সেগুলো বড়, ভারী ও ধীরগতির। অপরদিকে অক্টাভিয়ানের সেনাপতি মার্কাস ভিপসানিয়াস আগ্রিপ্পার নেতৃত্বে প্রায় ৪০০ জাহাজ ছিল, যেগুলো ছোট, দ্রুতগামী এবং যুদ্ধকৌশলে বেশি কার্যকর।
২ সেপ্টেম্বর সকালে যখন যুদ্ধ শুরু হয়, তখন পরিস্থিতি নাটকীয় মোড় নেয়। আগ্রিপ্পার জাহাজগুলো দ্রুতগতির আক্রমণে অ্যান্টনির বহরকে ঘিরে ফেলে। ইতিহাসবিদরা লিখেছেন, যুদ্ধ চলাকালে হঠাৎ ক্লিওপেট্রা তার ৬০টি জাহাজ নিয়ে সরাসরি যুদ্ধক্ষেত্র ছেড়ে মিশরের দিকে পালিয়ে যান। কেন তিনি এটা করেছিলেন তা নিয়ে আজও বিতর্ক আছে। অনেকে বলেন, তিনি যুদ্ধের ফল খারাপ হবে বুঝতে পেরেছিলেন। আবার অনেকে মনে করেন, শুরু থেকেই পালানোর পরিকল্পনা ছিল। ক্লিওপেট্রার এই পদক্ষেপে অ্যান্টনির মনোবল ভেঙে যায়। তিনি নিজেও কয়েকটি জাহাজ নিয়ে তার পিছু নেন, ফলে মূল যুদ্ধক্ষেত্রে থাকা রোমান সৈন্যরা নেতৃত্বহীন হয়ে পড়ে। এই সুযোগে আগ্রিপ্পার নেতৃত্বে অক্টাভিয়ানের নৌবাহিনী বিশাল জয় পায়।
অ্যাক্টিয়ামের যুদ্ধের ফল ছিল সুদূরপ্রসারী। অ্যান্টনি ও ক্লিওপেট্রা পালিয়ে গেলেও এক বছর পর মিশরে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হন। অক্টাভিয়ান অপ্রতিদ্বন্দ্বী শাসক হয়ে ওঠেন। খ্রিস্টপূর্ব ২৭ সালে তিনি "অগাস্টাস" উপাধি পান এবং আনুষ্ঠানিকভাবে রোমান সাম্রাজ্যের প্রথম সম্রাট হিসেবে ইতিহাসে জায়গা করে নেন। অ্যাক্টিয়ামের যুদ্ধ তাই শুধু একটি নৌযুদ্ধ নয়, বরং রোমান রিপাবলিকের সমাপ্তি ও রোমান সাম্রাজ্যের সূচনা।
ব্রিটিশ ইতিহাসবিদ ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাচীন রোমের বিশেষজ্ঞ, অ্যান্ড্রু ওয়ালেস-হ্যাড্রিল, যিনিলিখেছেন, “অ্যাক্টিয়ামের যুদ্ধ আসলে রোমের ভবিষ্যৎ ঠিক করেছিল। যদি অ্যান্টনি জিততেন, তবে হয়তো রোম আর ইউরোপ নয়, বরং আলেকজান্দ্রিয়া থেকে পরিচালিত হতো। অক্টাভিয়ানের জয় মানে ছিল পশ্চিমা সভ্যতার গতিপথ নির্ধারিত হয়ে যাওয়া।”
প্রাচীন সামরিক ইতিহাসের খ্যাতনামা লেখক অ্যাড্রিয়ান গোল্ডসওয়ার্দি বলেন:
“অক্টাভিয়ানের প্রকৃত শক্তি ছিল তার সেনাপতি আগ্রিপ্পা। যুদ্ধকৌশল, সমুদ্রযাত্রার অভিজ্ঞতা আর শত্রুকে ক্লান্ত করে ফেলার পরিকল্পনা—সবকিছু মিলে আগ্রিপ্পা যুদ্ধের ভাগ্য নির্ধারণ করেন। অ্যান্টনির পরাজয় আসলে সামরিক ব্যর্থতার চেয়ে নেতৃত্বের ব্যর্থতা।”
অন্যদিকে জার্মান ইতিহাসবিদ ক্রিস্টিয়ান মেইয়ার উল্লেখ করেন: “অ্যাক্টিয়ামের যুদ্ধকে শুধু সামরিক সংঘর্ষ বলে দেখলে ভুল হবে। এটি ছিল এক রাজনৈতিক নাটক, যেখানে প্রেম, বিশ্বাসঘাতকতা ও ক্ষমতার দ্বন্দ্ব সব একসাথে মিশে গিয়েছিল। অক্টাভিয়ান শুধু যুদ্ধ জয় করেননি, তিনি প্রচারণার যুদ্ধও জিতেছিলেন। তিনি রোমের জনগণকে বোঝাতে পেরেছিলেন যে, তিনি রোমের রক্ষক।”
এই গবেষকদের মন্তব্য প্রমাণ করে যে অ্যাক্টিয়ামের যুদ্ধ কেবল সমুদ্রের ঢেউয়ের সঙ্গে জাহাজের সংঘর্ষ নয়। এটি ছিল মানসিক যুদ্ধ, রাজনৈতিক যুদ্ধ এবং ভবিষ্যতের সভ্যতার ভিত্তি স্থাপনকারী এক সিদ্ধান্তমূলক ঘটনা।
আজও অ্যাক্টিয়ামের যুদ্ধ ইতিহাসে আলোচিত হয় শুধু অ্যান্টনি ও ক্লিওপেট্রার রোম্যান্সের কারণে নয়, বরং এর ফলশ্রুতিতে গড়ে ওঠা এক বিশাল সাম্রাজ্যের জন্য। ইউরোপের রাজনীতি, সংস্কৃতি এবং পরবর্তী দুই হাজার বছরের ইতিহাস যে রোমের কেন্দ্র থেকে নিয়ন্ত্রিত হবে, তার সূচনা হয়েছিল এই ছোট্ট সাগর উপকূলে।
অতএব বলা যায়, ব্যাটল অব অ্যাক্টিয়াম ছিল এক নাটকীয় মোড়। যেখানে প্রেম, ক্ষমতা, বিশ্বাসঘাতকতা ও সামরিক কৌশল মিলে ইতিহাসকে নতুন দিক দিয়েছিল। অক্টাভিয়ানের বিজয় শুধু একজন নেতার জয় ছিল না, বরং সেটি ছিল এক যুগের সূচনা। আর অ্যান্টনি ও ক্লিওপেট্রার পরাজয় শুধু ব্যক্তিগত ট্র্যাজেডি নয়, বরং প্রমাণ যে রাজনৈতিক বাস্তবতা প্রেমের চেয়েও শক্তিশালী হতে পারে।
ব্রিফিংয়ে অধ্যাপক জসীম উদ্দিন বলেন, সপ্তম দিনে ডাকসুর বিভিন্ন পদে জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছে ৪৪২ জন। এখন পর্যন্ত সাত দিনে ডাকসুতে মোট মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন ৫৬৫ জন এবং ১৮টি হল সংসদের জন্য মোট মনোনয়ন সংগ্রহ করেছে এক হাজার ২২৬ জন।
১৫ ঘণ্টা আগেইংল্যান্ডের সিংহাসন তখন ছিল এক জটিল রাজনৈতিক টানাপোড়েনের কেন্দ্র। ইংরেজ রাজা এডওয়ার্ড দ্য কনফেসর ১০৬৬ সালের জানুয়ারিতে উত্তরাধিকারী ছাড়াই মারা যান। তাঁর মৃত্যুর পর সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়াল—কে ইংল্যান্ডের নতুন রাজা হবেন? রাজ্যের প্রধান অভিজাতেরা হ্যারল্ড গডউইনসনকে রাজা ঘোষণা করলেন।
১৫ ঘণ্টা আগেডাকসুকে ভিপি পদে প্রার্থী সাদিক কায়েম শিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি। অন্যদিকে জিএস পদে প্রার্থী এস এম ফরহাদ শিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার বর্তমান সভাপতি।
১৭ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) শিবিরের সাবেক সভাপতি সাদেক কায়েমকে ভিপি ও বর্তমান সভাপতি এস এম ফরহাদকে জিএস করে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের প্যানেল ঘোষণা করেছে সংগঠনটি।
২০ ঘণ্টা আগে