প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার পর এক ব্যক্তি একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ও দলের প্রধান থাকতে পারবেন না বলে সিদ্ধান্ত দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এ সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহৎ রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) জানিয়েছে, তারা এ প্রস্তাবে রাজি না।
মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় দফার ১৭তম দিনের আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
সভা শেষে কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ সাংবাদিকদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী পদে আসীন ব্যক্তি একই সঙ্গে দলীয় প্রধানের পদে অধিষ্ঠিত থাকবেন না বলে প্রায় তিন-চতুর্থাংশ রাজনৈতিক দল ও জোট একমত হয়েছে। তবে কিছু দল ও জোটের এ বিষয়ে ভিন্নমত রয়েছে।
ঐকমত্য কমিশনের এই সহসভাপতি বলেন, এ বিষয়ে প্রস্তাব নিয়ে একাধিক দিন সংলাপ হয়েছে। সেখানে বিএনপি ও সমমনা দল এলডিপি, লেবার পার্টি, এনডিএম, ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট এবং আমজনতার দল একই ব্যক্তি দলীয় প্রধান, প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা থাকায় কোনো সমস্যা দেখছে না। এ কারণে একই সঙ্গে একাধিক পদে না থাকার বাধ্যবাধকতা আরোপের পক্ষে নন তারা। জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) অধিকাংশ দল একই সঙ্গে দলীয় প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী থাকার বিপক্ষে মত দেয়।
এদিকে বিএনপি মনে করছে, তাদের বেঁধে ফেলতেই জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সংস্কারের নামে প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় প্রধানের পদে একই ব্যক্তিকে না রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বিএনপির অভিমত, বিভিন্ন দেশের গণতান্ত্রিক চর্চাগুলো কমিশন উপেক্ষা করছে। যুক্তরাজ্য, ভারতসহ অনেক দেশে দলীয়প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী একই ব্যক্তি হওয়ার নজির রয়েছে। বাংলাদেশেও দলের প্রধানই সারা জীবন প্রধানমন্ত্রী হয়ে আসছেন। সুতরাং দলীয় প্রধানের প্রধানমন্ত্রী না হতে পারার প্রস্তাব বিএনপি মানবে না।
বিশ্বের গণতন্ত্রের সূতিকাগার হিসাবে পরিচিত যুক্তরাজ্যে দলীয় প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী একই ব্যক্তি হয়ে থাকেন বলে যুক্তি দিয়েছে বিএনপি। উদাহরণ হিসেবে পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু ও লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের প্রধান হিসাবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী হওয়ার নজির তুলে ধরছে।
বিএনপি বলছে, বাংলাদেশেও দলীয় প্রধানরাই সবসময় প্রধানমন্ত্রী হয়ে আসছেন। তাছাড়া বাংলাদেশে দলীয় প্রধানের পরিচয়েই মূলত সেই দলের প্রার্থীরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। নির্বাচনে বিজয়ের ক্ষেত্রেও দলীয় প্রধানের পরিচয়ই মুখ্য ভূমিকা রাখে।
এর মধ্যে স্থায়ী কমিটির বৈঠক করেছে বিএনপি। দলটির নেতারা মনে করছেন, রাজনীতিতে ক্রিয়াশীল অন্য দলগুলো অনেক বড় দল নয়। নির্বাচন হলে তাদের ক্ষমতায় যাওয়ার সম্ভাবনাও ক্ষীণ। সে ক্ষেত্রে ঐকমত্য কমিশনের সব প্রস্তাব মেনে নিলেও তাদের কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু বিএনপির পক্ষে দলীয় প্রধানের প্রধানমন্ত্রী হতে না পারা সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া কঠিন। কারণ বিএনপির নেতৃত্ব কাঠামো ও সারা দেশে নেতৃত্বের ‘চেইন অব কমান্ড’ রয়েছে।
এ ছাড়া নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া দলের সংসদীয় কমিটিই ঠিক করে থাকে, কে প্রধানমন্ত্রী হবেন। ফলে এখানে কোনো আইনি বাধ্যবাধকতা থাকা উচিত নয় বলে মনে করে বিএনপি। দলটি বলছে, সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া দলের সংসদীয় কমিটি যদি মনে করে তারা দলীয় প্রধানকেই প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করবে, তাহলে গণতান্ত্রিক এ প্রক্রিয়ার সুযোগ বন্ধ করা ঠিক হবে না।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির একাধিক নেতা বলেন, বিএনপি বরাবরই প্রয়োজনীয় ও যৌক্তিক সংস্কারের পক্ষে৷ তবে বর্তমানে অযৌক্তিক অনেক সংস্কার প্রস্তাব আনা হচ্ছে, যার উদ্দেশ্য বিএনপিকে বেঁধে ফেলা। কারণ অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আগামীতে বিএনপিই রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় যাবে। সম্প্রতি বিভিন্ন সংগঠনের জরিপেও সে তথ্য উঠে এসেছে। সুতরাং কোনো অযৌক্তিক সংস্কার প্রস্তাব বিএনপি মানবে না।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির নেতারা আরও বলেন, আমরা বলেছি নির্বাচনে বিজয়ী হলে ফ্যাসিবাদবিরোধী যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের নিয়ে জাতীয় সরকার গঠন করব। এর অংশ হিসাবে মিত্রদের মধ্যে আগামী নির্বাচনে আমরা যাদের ধানের শীষের মনোনয়ন দেবো, তারা তো বিএনপি প্রধানের নেতৃত্ব মেনেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন। সুতরাং দলীয় প্রধানের প্রধানমন্ত্রী হতে না পারার ‘অযৌক্তিক’ প্রস্তাব মানার প্রশ্নই ওঠে না।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন অবশ্য এ সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে নোট অব ডিসেন্ট দেওয়ার সুযোগ রাখার কথা বলেছে। আলী রীয়াজের মতে, কোনো দল চাইলে জাতীয় সনদে এ বিষয়ে নোট অব ডিসেন্ট দিতে পারবে। অর্থাৎ আপত্তি জানাতে পারবে। তবে দলগুলো যেন আপত্তি না জানিয়ে এ প্রস্তাব মেনে নেয়, সে অনুরোধও করছেন তিনি।
বিএনপিকে ইঙ্গিত করে আলী রীয়াজ বলেন, ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের অনুরোধ, যারা নোট অব ডিসেন্ট দিতে আগ্রহী, আপনারা প্রয়োজন মনে করলে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে পারেন। এটা আমাদের অনুরোধ।’
তবে কমিশন প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় প্রধানের পদে এক ব্যক্তিকে না রাখার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করলে ‘নোট অব ডিসেন্ট’ দেবে বলেই স্থির সিদ্ধান্ত বিএনপির। দলটি মনে করে, সংসদকে পাশ কাটিয়ে এসব সংস্কারের মাধ্যমে সংসদকেই ছোট করা হচ্ছে।
বিএনপি অবশ্য প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার ভারসাম্য আনার পক্ষে৷ স্থায়ী কমিটির গত বৈঠকেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। দলটির অভিমত, এই দুই পদের মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য চাইলেও তড়া এমন ভারসাম্য চায় না, যেখানে সরকারপ্রধান তথা প্রধানমন্ত্রীর হাতে পর্যাপ্ত ক্ষমতা থাকবে না।
বিএনপির স্থায়ী কমিটি মনে করে, সার্বিক বিবেচনায় সংসদীয় গণতন্ত্রে রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য প্রধানমন্ত্রীর হাতে পর্যাপ্ত ক্ষমতা থাকা প্রয়োজন। বিএনপি নেতারা অভিমত দেন, রাষ্ট্রপতির কিছু ক্ষমতা অর্থাৎ স্বাধীন সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে দুয়েকটি বিষয়ে ক্ষমতা বাড়ানো যেতে পারে। তবে রাষ্ট্রপতিকে যদি ব্যাপকভাবে ক্ষমতায়িত করা হয়, তাহলে সংসদীয় গণতন্ত্র তেমন অর্থবহ থাকবে না। প্রধানমন্ত্রীর হাতে যথেষ্ট ক্ষমতা না থাকলে সংসদীয় গণতন্ত্র অকার্যকর হয়ে পড়বে। এ নিয়ে বিএনপি আরও আলোচনায় চালিয়ে যাবে।
কমিশন জানায়, প্রধানমন্ত্রীর একাধিক পদে থাকার বিধান ছাড়াও মঙ্গলবারের আলোচনায় কয়েকটি এজেন্ডা ছিল। এর মধ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিষয়ে রাজনৈতিক দলের প্রস্তাবের ভিত্তিতে একটি সমন্বিত প্রস্তাব গ্রহণ। নির্বাচন কমিশন, সরকারি কর্মকমিশন, মহা হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, দুর্নীতি দমন কমিশন এবং ন্যায়পাল নিয়োগের ব্যাপারে বিধান তৈরি করতে হবে।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার পর এক ব্যক্তি একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ও দলের প্রধান থাকতে পারবেন না বলে সিদ্ধান্ত দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এ সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহৎ রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) জানিয়েছে, তারা এ প্রস্তাবে রাজি না।
মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় দফার ১৭তম দিনের আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
সভা শেষে কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ সাংবাদিকদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী পদে আসীন ব্যক্তি একই সঙ্গে দলীয় প্রধানের পদে অধিষ্ঠিত থাকবেন না বলে প্রায় তিন-চতুর্থাংশ রাজনৈতিক দল ও জোট একমত হয়েছে। তবে কিছু দল ও জোটের এ বিষয়ে ভিন্নমত রয়েছে।
ঐকমত্য কমিশনের এই সহসভাপতি বলেন, এ বিষয়ে প্রস্তাব নিয়ে একাধিক দিন সংলাপ হয়েছে। সেখানে বিএনপি ও সমমনা দল এলডিপি, লেবার পার্টি, এনডিএম, ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট এবং আমজনতার দল একই ব্যক্তি দলীয় প্রধান, প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা থাকায় কোনো সমস্যা দেখছে না। এ কারণে একই সঙ্গে একাধিক পদে না থাকার বাধ্যবাধকতা আরোপের পক্ষে নন তারা। জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) অধিকাংশ দল একই সঙ্গে দলীয় প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী থাকার বিপক্ষে মত দেয়।
এদিকে বিএনপি মনে করছে, তাদের বেঁধে ফেলতেই জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সংস্কারের নামে প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় প্রধানের পদে একই ব্যক্তিকে না রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বিএনপির অভিমত, বিভিন্ন দেশের গণতান্ত্রিক চর্চাগুলো কমিশন উপেক্ষা করছে। যুক্তরাজ্য, ভারতসহ অনেক দেশে দলীয়প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী একই ব্যক্তি হওয়ার নজির রয়েছে। বাংলাদেশেও দলের প্রধানই সারা জীবন প্রধানমন্ত্রী হয়ে আসছেন। সুতরাং দলীয় প্রধানের প্রধানমন্ত্রী না হতে পারার প্রস্তাব বিএনপি মানবে না।
বিশ্বের গণতন্ত্রের সূতিকাগার হিসাবে পরিচিত যুক্তরাজ্যে দলীয় প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী একই ব্যক্তি হয়ে থাকেন বলে যুক্তি দিয়েছে বিএনপি। উদাহরণ হিসেবে পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু ও লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের প্রধান হিসাবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী হওয়ার নজির তুলে ধরছে।
বিএনপি বলছে, বাংলাদেশেও দলীয় প্রধানরাই সবসময় প্রধানমন্ত্রী হয়ে আসছেন। তাছাড়া বাংলাদেশে দলীয় প্রধানের পরিচয়েই মূলত সেই দলের প্রার্থীরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। নির্বাচনে বিজয়ের ক্ষেত্রেও দলীয় প্রধানের পরিচয়ই মুখ্য ভূমিকা রাখে।
এর মধ্যে স্থায়ী কমিটির বৈঠক করেছে বিএনপি। দলটির নেতারা মনে করছেন, রাজনীতিতে ক্রিয়াশীল অন্য দলগুলো অনেক বড় দল নয়। নির্বাচন হলে তাদের ক্ষমতায় যাওয়ার সম্ভাবনাও ক্ষীণ। সে ক্ষেত্রে ঐকমত্য কমিশনের সব প্রস্তাব মেনে নিলেও তাদের কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু বিএনপির পক্ষে দলীয় প্রধানের প্রধানমন্ত্রী হতে না পারা সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া কঠিন। কারণ বিএনপির নেতৃত্ব কাঠামো ও সারা দেশে নেতৃত্বের ‘চেইন অব কমান্ড’ রয়েছে।
এ ছাড়া নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া দলের সংসদীয় কমিটিই ঠিক করে থাকে, কে প্রধানমন্ত্রী হবেন। ফলে এখানে কোনো আইনি বাধ্যবাধকতা থাকা উচিত নয় বলে মনে করে বিএনপি। দলটি বলছে, সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া দলের সংসদীয় কমিটি যদি মনে করে তারা দলীয় প্রধানকেই প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করবে, তাহলে গণতান্ত্রিক এ প্রক্রিয়ার সুযোগ বন্ধ করা ঠিক হবে না।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির একাধিক নেতা বলেন, বিএনপি বরাবরই প্রয়োজনীয় ও যৌক্তিক সংস্কারের পক্ষে৷ তবে বর্তমানে অযৌক্তিক অনেক সংস্কার প্রস্তাব আনা হচ্ছে, যার উদ্দেশ্য বিএনপিকে বেঁধে ফেলা। কারণ অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আগামীতে বিএনপিই রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় যাবে। সম্প্রতি বিভিন্ন সংগঠনের জরিপেও সে তথ্য উঠে এসেছে। সুতরাং কোনো অযৌক্তিক সংস্কার প্রস্তাব বিএনপি মানবে না।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির নেতারা আরও বলেন, আমরা বলেছি নির্বাচনে বিজয়ী হলে ফ্যাসিবাদবিরোধী যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের নিয়ে জাতীয় সরকার গঠন করব। এর অংশ হিসাবে মিত্রদের মধ্যে আগামী নির্বাচনে আমরা যাদের ধানের শীষের মনোনয়ন দেবো, তারা তো বিএনপি প্রধানের নেতৃত্ব মেনেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন। সুতরাং দলীয় প্রধানের প্রধানমন্ত্রী হতে না পারার ‘অযৌক্তিক’ প্রস্তাব মানার প্রশ্নই ওঠে না।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন অবশ্য এ সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে নোট অব ডিসেন্ট দেওয়ার সুযোগ রাখার কথা বলেছে। আলী রীয়াজের মতে, কোনো দল চাইলে জাতীয় সনদে এ বিষয়ে নোট অব ডিসেন্ট দিতে পারবে। অর্থাৎ আপত্তি জানাতে পারবে। তবে দলগুলো যেন আপত্তি না জানিয়ে এ প্রস্তাব মেনে নেয়, সে অনুরোধও করছেন তিনি।
বিএনপিকে ইঙ্গিত করে আলী রীয়াজ বলেন, ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের অনুরোধ, যারা নোট অব ডিসেন্ট দিতে আগ্রহী, আপনারা প্রয়োজন মনে করলে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে পারেন। এটা আমাদের অনুরোধ।’
তবে কমিশন প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় প্রধানের পদে এক ব্যক্তিকে না রাখার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করলে ‘নোট অব ডিসেন্ট’ দেবে বলেই স্থির সিদ্ধান্ত বিএনপির। দলটি মনে করে, সংসদকে পাশ কাটিয়ে এসব সংস্কারের মাধ্যমে সংসদকেই ছোট করা হচ্ছে।
বিএনপি অবশ্য প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার ভারসাম্য আনার পক্ষে৷ স্থায়ী কমিটির গত বৈঠকেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। দলটির অভিমত, এই দুই পদের মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য চাইলেও তড়া এমন ভারসাম্য চায় না, যেখানে সরকারপ্রধান তথা প্রধানমন্ত্রীর হাতে পর্যাপ্ত ক্ষমতা থাকবে না।
বিএনপির স্থায়ী কমিটি মনে করে, সার্বিক বিবেচনায় সংসদীয় গণতন্ত্রে রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য প্রধানমন্ত্রীর হাতে পর্যাপ্ত ক্ষমতা থাকা প্রয়োজন। বিএনপি নেতারা অভিমত দেন, রাষ্ট্রপতির কিছু ক্ষমতা অর্থাৎ স্বাধীন সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে দুয়েকটি বিষয়ে ক্ষমতা বাড়ানো যেতে পারে। তবে রাষ্ট্রপতিকে যদি ব্যাপকভাবে ক্ষমতায়িত করা হয়, তাহলে সংসদীয় গণতন্ত্র তেমন অর্থবহ থাকবে না। প্রধানমন্ত্রীর হাতে যথেষ্ট ক্ষমতা না থাকলে সংসদীয় গণতন্ত্র অকার্যকর হয়ে পড়বে। এ নিয়ে বিএনপি আরও আলোচনায় চালিয়ে যাবে।
কমিশন জানায়, প্রধানমন্ত্রীর একাধিক পদে থাকার বিধান ছাড়াও মঙ্গলবারের আলোচনায় কয়েকটি এজেন্ডা ছিল। এর মধ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিষয়ে রাজনৈতিক দলের প্রস্তাবের ভিত্তিতে একটি সমন্বিত প্রস্তাব গ্রহণ। নির্বাচন কমিশন, সরকারি কর্মকমিশন, মহা হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, দুর্নীতি দমন কমিশন এবং ন্যায়পাল নিয়োগের ব্যাপারে বিধান তৈরি করতে হবে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘এই সরকারের স্বাভাবিক ত্রুটি থাকবে। তবে এই দুর্বলতাকে বড় করে না দেখে তাদের সদিচ্ছাকে বড় করে দেখা উচিত। নির্বাচন নিয়ে সরকারের আন্তরিকতার ঘাটতি দেখছি না।’
৯ ঘণ্টা আগেঐকমত্যের আলোচনা জরুরি হলেও এসব ঘটনার প্রতিবাদও করতেই হবে বলে মন্তব্য করেন রুহিন হোসেন প্রিন্স। বলেন, এ ঘটনার প্রতিবাদ করা ছাড়া এখানে থাকা সম্ভব হচ্ছে না। এ কারণে ১০ মিনিটের জন্য থাকতে চাই না।
১০ ঘণ্টা আগেবৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস বলেন, আপনাদের মধ্যে যে ঐক্য আছে, আরও বেশি দৃশ্যমান হলে ভালো হয়। আপনারা ফ্যাসিবাদবিরোধী কোনো প্রশ্নে হোক বা গঠনমূলক কোনো কর্মসূচিতে যদি একসঙ্গে থাকেন এবং তা যদি মানুষ দেখে, তাহলে মানুষের মধ্যে স্বস্তি আসবে। এটা দেখে অনেক বেশি মানুষ খুশি হবে এবং দেশের মানুষ সেটা চায়
১৭ ঘণ্টা আগেচার রাজনৈতিক দলের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বৈঠকে বসেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। দলগুলো হলো— বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
১ দিন আগে