ঐকমত্য প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ছাড় দিয়েছে বিএনপি: ফখরুল

প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
প্রকাশ: ০৬ জুলাই ২০২৫, ১৪: ১০

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার স্বার্থে অনেক কঠিন ও বিতর্কিত বিষয়ে দলটি ছাড় দিয়েছে। এমনকি প্রধান বিচারপতি নিয়োগের মতো স্পর্শকাতর বিষয়েও আগের অবস্থান থেকে সরে এসেছে বিএনপি।

রোববার (৬ জুলাই) গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি জানান, সংসদে বিরোধী দলকে গুরুত্বপূর্ণ চারটি স্থায়ী কমিটির সভাপতির পদ এবং আসন সংখ্যার অনুপাতে অন্যান্য সভাপতির পদ দেয়ার ব্যাপারেও বিএনপি একমত হয়েছে। একই সঙ্গে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা সংক্রান্ত সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদ পরিবর্তনেও ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা হয়েছে।

ফখরুল আরও বলেন, “তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তন, ন্যায়পাল আইন যুগোপযোগী করা, নির্বাচনী সীমানা নির্ধারণে সংশ্লিষ্ট সংবিধান ও আইন সংশোধন, এবং বিশেষায়িত সংসদীয় কমিটি গঠন—এসব বিষয়েও আমরা একমত হয়েছি।”

বিভাগীয় পর্যায়ে হাইকোর্টের স্থায়ী বেঞ্চ প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “১৯৮৮ সালে এমন উদ্যোগ উচ্চ আদালত বাতিল করেছিল। তাই এ বিষয়ে বিচার বিভাগের সঙ্গে আলোচনা করে বাস্তবায়নের পরামর্শ দিয়েছি।”

তিনি স্বীকার করেন, “অনেক সংস্কার প্রস্তাব রয়েছে যেগুলো বাস্তবায়ন কঠিন, এমনকি উদ্দেশ্যসিদ্ধি নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। তবুও কেবল ঐকমত্যের স্বার্থে এসব বিষয়ে আমরা সম্মতি জানিয়েছি।”

ফখরুল বলেন, বর্তমানে এমন অনেক নতুন প্রস্তাব আসছে যেগুলো রাজনীতি, রাষ্ট্র ও সংসদ পরিচালনায় বড় পরিবর্তন আনবে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, “এসব পরিবর্তনে জনগণকে সম্পৃক্ত না করে তাদের পক্ষে কেউ সিদ্ধান্ত নিতে পারে কি না, তা বিবেচনার দাবি রাখে।”

এ প্রসঙ্গে বিএনপি এখনই মন্তব্য করতে চায় না জানিয়ে তিনি বলেন, এসব বিষয়ে এখনো সুস্পষ্ট প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা শুরু হয়নি।

সংবাদ সম্মেলনের শেষ অংশে বিএনপির অতীত সংগ্রাম এবং ভবিষ্যত অঙ্গীকারের কথা তুলে ধরে ফখরুল বলেন, “দীর্ঘ দেড় যুগ ধরে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করে বিএনপি শুধু টিকে থাকেনি, বরং শক্তিশালী ও জনপ্রিয় রাজনৈতিক শক্তিতে পরিণত হয়েছে। শহীদ, গুম ও নির্যাতনের শিকার কর্মীদের আত্মত্যাগে দলটির ঐক্য আরও দৃঢ় হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা যেন দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে স্বাধীনতা সংগ্রাম, ৯০-এর ছাত্র গণঅভ্যুত্থান ও ২০২৪ সালের আন্দোলনের চেতনা ধারণ করে একটি বৈষম্যহীন, মানবিক ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে পারি।”

ad
ad

ঘরের রাজনীতি থেকে আরও পড়ুন

নির্বাচনে যাদের ভরাডুবি হবে তারাই পিআর পদ্ধতি চায়: প্রিন্স

এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, নেতাকর্মীদের যারাই অসৎ পথে পা দেবে, সে যত শক্তিশালী, জনপ্রিয়, ত্যাগী বা নিবেদিতপ্রাণই হোক না কেন, বিএনপি পরিবারে তার ঠাঁই হবে না। রাজনীতি নয়, দেশ ও জনগণকে দেওয়ার মানসিকতা নিয়ে নেতাকর্মীদের রাজনীতি করতে হবে।

৫ ঘণ্টা আগে

জামায়াত একদিকে মনোনয়ন দিচ্ছে, আরেক দিকে ভোট পেছানোর দাবি করছে: রিজভী

রিজভী বলেন, ‘জনগণের মনোভাব বুঝতে জামায়াতের ইতিহাসই ব্যর্থ। ১৯৭১ সালে তারা যদি জনগণের মন বুঝত, তাহলে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করত না। তারা ১৯৮৬ সালে এরশাদের অধীনে শেখ হাসিনার সঙ্গে নির্বাচনে যেত না। তারা সব সময় জনগণের মতামত উপেক্ষা করেছে। আসলে তাদের কাছে জনগণই কোনো বিষয় নয়।’

৫ ঘণ্টা আগে

সীমান্তের আগ্রাসন আর মেনে নেব না: নাহিদ

রাজনৈতিক দলগুলোকে বৈষম্য করার সুযোগ দেওয়া হবে না জানিয়ে নাহিদ বলেন, ‘দেশে মৌলিক সংস্কার করতে হবে। সব জেলা থেকে বৈষম্য দূর করতে হবে। আমরা বৈষম্যহীন বাংলাদেশ চাই। সেই স্বপ্নই আমরা দেখি। জনগণের বৈষম্যহীন বাংলাদেশের স্বপ্ন আমাদের নিকট আমানত। নতুন বাংলাদেশে রাজনৈতিক দলগুলোকে বৈষম্য করার সুযোগ দেওয়া হবে ন

৬ ঘণ্টা আগে

'পিআর পদ্ধতি নিয়ে কমিশনে আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরুই হয়নি'

বিএনপিকে সংস্কারের বিষয়ে আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা বড় অন্যায় উল্লেখ করে নজরুল ইসলাম বলেন, ‘খুব চিন্তাভাবনা করে বড় পরিবর্তন করতে হয়। কোনো বিশেষ দলের সুবিধার জন্য পরিবর্তন চাওয়া ঠিক নয়। জনগণের স্বার্থেই সংস্কার করতে হবে।’

৮ ঘণ্টা আগে