প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
বিএনপির যুগ্ন-মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে পিআর পদ্ধতি গ্রহণযোগ্য নয়। ইউরোপের কিছু দেশে পিআর পদ্ধতি আছে কিন্তু বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপটে তা গ্রহণযোগ্য নয়। জাতীয় ঐক্য নষ্ট করার জন্য দুই একজন ব্যক্তি ও কিছু রাজনীতিক দল এই দাবি তুলছেন।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) দুপুরে লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ থানার দত্তপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির প্রতিনিধি নির্বাচন কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
দত্তপাড়া ইউনিয়নের সৈয়দপুর সরাকরী প্রাথমিক কেন্দ্রে ৪৬০ জন কাউন্সিলের মাধ্যমে সভাপতি সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচন করা হয়।
শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেন, পিআর পদ্ধতি সম্পর্কে তারেক রহমান স্পষ্টভাবে বলেছেন, পৃথিবীর অনেক দেশেই পিআর পদ্ধতি আছে। কিন্তু বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এটা সম্ভব না। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এই মুহুর্তে আমরা যদি সেই পিআর পদ্ধতিতে যাই তাহলে নিজেদের মধ্যে একটি বড় ধরনের বিভেদ-বিভাজন তৈরি হবে। ফ্যাসিস্ট এখানে বড় সুযোগ পেয়ে যাবে। আওয়াম লীগের যে ফ্যাসিস্ট, যারা সরাসরি আপনাকে আমাকে আঘাত করেছে, দেশটাকে ধ্বংস করে দিয়েছে, দেশের রাজনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে, সামাজিক ব্যবস্থা, যে কাজগুলো আমরা করতে পারি নাই, প্রশাসনকে যারা জিম্মি করেছিল, ধ্বংস করে দিয়েছিল, তাদেরকে কোনভাবেই সুযোগ দেওয়া যাবে না। তাদের বিচারটা হল আগে। এজন্য আমাদেরকে এখন থেকে একটি সুদৃঢ় ঐক্য গড়তে হবে। সেই ঐক্যের ভিত্তিতে আমরা এগিয়ে যেতে চাই। এই ঐক্যের ভিত্তিতে দেশটাকে গড়তে চাই, নতুন করে নির্মাণ করতে চাই।
তিনি বলেন, একেক রাজনৈতিক দলের একেকটা বক্তব্য থাকতে পারে, মতভেদ থাকবে, প্রতিযোগিতা থাকবে, কিন্তু বৃহত্তর স্বার্থে, দেশের স্বার্থে, দেশ গড়ার স্বার্থে আমাদেরকে ক্ষুদ্র স্বার্থ ত্যাগ করে বৃহত্তর স্বার্থের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। সবাই ঐক্যবদ্ধ আছেন বলে আমরা বিশ্বাস করি এবং থাকবেন বলে আমরা সরকারের কাছে সবাই মিলে আহবান জানাচ্ছি, সুন্দরভাবে একটি স্বাধীন যে নির্বাচন কমিশন, নিরপেক্ষ যে অবস্থান সেখান থেকে একটি সুন্দর নির্বাচনের ব্যবস্থা করবেন। আমরা বলেছি। যারা ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলন করেছি যুগপৎ সংগ্রাম-লড়াই করেছি, তারা সবাই মিলে জাতীয় ঐক্যমতের সরকার গঠন করব।
তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্রের স্বার্থে মৌলিক সংস্কারগুলো ত্বরান্বিত করে একটি সঠিক নিরপেক্ষ সুন্দর নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। এখন যে সংস্কার চলছে এবং আমরা যে ৩১ দফায় সংষ্কার ঘোষণা করেছি, এ সংস্কার এবং ৩১ দফায় যে পয়েন্টগুলো উঠে এসেছে। একটি সুন্দর মিল আছে। তারেক রহমান খুব বিচক্ষণতার সহিত, দায়িত্বের সহিত চিন্তা ভাবনা করে ২০১৮ সালের পর যখন দেখলেন এদেশে একদলীয় শাসন চলে না, এক ব্যক্তির শাসন চলে না, একদল এবং এক ব্যক্তির শাসনের মধ্যে ফ্যাসিবাদ আছে, এখান থেকে আমাদেরকে বের হয়ে এ মানুষ ও দেশের জন্য একটি সুন্দর নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হলে জাতীয় ঐক্যমতের সরকার দরকার, নতুন সুশাসন দরকার, নতুন শাসন ব্যবস্থার প্রয়োজন। যে শাসন ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে সবাই মিলে যারা আমরা যুগপৎ আন্দোলন করেছি, ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি-সংগ্রাম করেছি।
চন্দ্রগঞ্জ থানা বিএনপির আহবায়ক বেলাল হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির যুগৃ- মহাসচিব শহীদ উদিন চৌধুরী, বিএনপি নেতা ও বাফুফের সভাপতি ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধরী হ্যাপী, জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি হাফিজুর রহমান, চন্দ্রগঞ্জ থানা বিএনেির সদস্য সচিব আনোয়ার হোসেন বাচ্ছু, যুগ্ন-আহবায়ক ইউছুপ ভূইয়া, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব আব্দুল আলীম হুমায়ুন, জেলা স্বেচ্চাসেবক দলের সভাপতি মহসিন কবির স্বপন, জেলা কৃষক দলের সভাপতি মাহবুবুর আলম মাহবুব সাধারণ সম্পাদক মোস্তফিজুর রহমান সোহেল, চন্দ্রগঞ্জ থানা ছারদলের আহবায়ক ইসমাইল হোসেন, সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর হোসেন সহ প্রমুখ।
বিএনপির যুগ্ন-মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে পিআর পদ্ধতি গ্রহণযোগ্য নয়। ইউরোপের কিছু দেশে পিআর পদ্ধতি আছে কিন্তু বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপটে তা গ্রহণযোগ্য নয়। জাতীয় ঐক্য নষ্ট করার জন্য দুই একজন ব্যক্তি ও কিছু রাজনীতিক দল এই দাবি তুলছেন।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) দুপুরে লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ থানার দত্তপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির প্রতিনিধি নির্বাচন কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
দত্তপাড়া ইউনিয়নের সৈয়দপুর সরাকরী প্রাথমিক কেন্দ্রে ৪৬০ জন কাউন্সিলের মাধ্যমে সভাপতি সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচন করা হয়।
শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেন, পিআর পদ্ধতি সম্পর্কে তারেক রহমান স্পষ্টভাবে বলেছেন, পৃথিবীর অনেক দেশেই পিআর পদ্ধতি আছে। কিন্তু বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এটা সম্ভব না। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এই মুহুর্তে আমরা যদি সেই পিআর পদ্ধতিতে যাই তাহলে নিজেদের মধ্যে একটি বড় ধরনের বিভেদ-বিভাজন তৈরি হবে। ফ্যাসিস্ট এখানে বড় সুযোগ পেয়ে যাবে। আওয়াম লীগের যে ফ্যাসিস্ট, যারা সরাসরি আপনাকে আমাকে আঘাত করেছে, দেশটাকে ধ্বংস করে দিয়েছে, দেশের রাজনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে, সামাজিক ব্যবস্থা, যে কাজগুলো আমরা করতে পারি নাই, প্রশাসনকে যারা জিম্মি করেছিল, ধ্বংস করে দিয়েছিল, তাদেরকে কোনভাবেই সুযোগ দেওয়া যাবে না। তাদের বিচারটা হল আগে। এজন্য আমাদেরকে এখন থেকে একটি সুদৃঢ় ঐক্য গড়তে হবে। সেই ঐক্যের ভিত্তিতে আমরা এগিয়ে যেতে চাই। এই ঐক্যের ভিত্তিতে দেশটাকে গড়তে চাই, নতুন করে নির্মাণ করতে চাই।
তিনি বলেন, একেক রাজনৈতিক দলের একেকটা বক্তব্য থাকতে পারে, মতভেদ থাকবে, প্রতিযোগিতা থাকবে, কিন্তু বৃহত্তর স্বার্থে, দেশের স্বার্থে, দেশ গড়ার স্বার্থে আমাদেরকে ক্ষুদ্র স্বার্থ ত্যাগ করে বৃহত্তর স্বার্থের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। সবাই ঐক্যবদ্ধ আছেন বলে আমরা বিশ্বাস করি এবং থাকবেন বলে আমরা সরকারের কাছে সবাই মিলে আহবান জানাচ্ছি, সুন্দরভাবে একটি স্বাধীন যে নির্বাচন কমিশন, নিরপেক্ষ যে অবস্থান সেখান থেকে একটি সুন্দর নির্বাচনের ব্যবস্থা করবেন। আমরা বলেছি। যারা ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলন করেছি যুগপৎ সংগ্রাম-লড়াই করেছি, তারা সবাই মিলে জাতীয় ঐক্যমতের সরকার গঠন করব।
তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্রের স্বার্থে মৌলিক সংস্কারগুলো ত্বরান্বিত করে একটি সঠিক নিরপেক্ষ সুন্দর নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। এখন যে সংস্কার চলছে এবং আমরা যে ৩১ দফায় সংষ্কার ঘোষণা করেছি, এ সংস্কার এবং ৩১ দফায় যে পয়েন্টগুলো উঠে এসেছে। একটি সুন্দর মিল আছে। তারেক রহমান খুব বিচক্ষণতার সহিত, দায়িত্বের সহিত চিন্তা ভাবনা করে ২০১৮ সালের পর যখন দেখলেন এদেশে একদলীয় শাসন চলে না, এক ব্যক্তির শাসন চলে না, একদল এবং এক ব্যক্তির শাসনের মধ্যে ফ্যাসিবাদ আছে, এখান থেকে আমাদেরকে বের হয়ে এ মানুষ ও দেশের জন্য একটি সুন্দর নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হলে জাতীয় ঐক্যমতের সরকার দরকার, নতুন সুশাসন দরকার, নতুন শাসন ব্যবস্থার প্রয়োজন। যে শাসন ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে সবাই মিলে যারা আমরা যুগপৎ আন্দোলন করেছি, ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি-সংগ্রাম করেছি।
চন্দ্রগঞ্জ থানা বিএনপির আহবায়ক বেলাল হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির যুগৃ- মহাসচিব শহীদ উদিন চৌধুরী, বিএনপি নেতা ও বাফুফের সভাপতি ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধরী হ্যাপী, জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি হাফিজুর রহমান, চন্দ্রগঞ্জ থানা বিএনেির সদস্য সচিব আনোয়ার হোসেন বাচ্ছু, যুগ্ন-আহবায়ক ইউছুপ ভূইয়া, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব আব্দুল আলীম হুমায়ুন, জেলা স্বেচ্চাসেবক দলের সভাপতি মহসিন কবির স্বপন, জেলা কৃষক দলের সভাপতি মাহবুবুর আলম মাহবুব সাধারণ সম্পাদক মোস্তফিজুর রহমান সোহেল, চন্দ্রগঞ্জ থানা ছারদলের আহবায়ক ইসমাইল হোসেন, সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর হোসেন সহ প্রমুখ।
রিজভী আরও বলেন, একজন মানুষ দীর্ঘদিন এলাকায় মানুষের পাশে থেকে কাজ করতে করতে নেতা হন। অথচ আনুপাতিক ভোটে তাকে নয়, দলকে ভোট দিতে হবে। এরপর দল থেকে বাছাই করে এমপি ঘোষণা করা হবে। তাহলে তো আরও বেশি স্বৈরশাসনের দিকে ঠেলে দেওয়া হবে। স্থানীয় পর্যায়ে আর কোনো নেতৃত্ব থাকবে না, স্থানীয় পর্যায়ে আর কেউ নিজেকে
১২ ঘণ্টা আগেজাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে টেলিকম নীতিমালা প্রণয়ন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকারের এমন সব পদক্ষেপ নেওয়া উচিত, যা দেশ ও জনগণের কল্যাণ বয়ে আনে।
১৩ ঘণ্টা আগেরাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক বাস্তবতায় সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন না হলে ছোট দলের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা কঠিন। এ পদ্ধতিতে ইসলামি দল বা বাম দল, এমনকি নতুন দল এনসিপিরও সংসদে কিছু আসন পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ থাকায় এবং জাতীয় পার্টিকে সরকার এড়িয়ে চলায় পিআর পদ্ধতি সম্পর্কে
১৭ ঘণ্টা আগেসালাহউদ্দিন বলেন, ‘আজকে আলোচনার বিষয় ছিল সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতির মধ্যে কি সংশোধনী আনা যায়, এতে বিচার বিভাগকে না রেখে উত্তম কোনো প্রস্তাব আছে কি না? সে বিষয়ে সবার মতামত।’
১ দিন আগে