‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে অসন্তোষের যত কারণ\n
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ড. ইউনুসের অন্তবর্তী সরকার মিয়ানমারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের বাইরে মার্কিন যুদ্ধবাদী নীতির অংশীদার হয়ে আরাকানে মানবিক করিডোর দেওয়ার নামে যে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, তা ভবিষ্যতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি হয়ে দেখা দেবে এবং মিয়ানমারের গৃহযুদ্ধকে বাংলাদেশের সীমান্তে আহ্বান করা হবে।
রোহিঙ্গা সংকটকে মিয়ানমারের গৃহযুদ্ধের অভিঘাত অভিহিত করে পার্টির পলিটব্যুরো বলছে, সেই সংকট সমাধানের সুনির্দিষ্ট কোনো চুক্তি বা ফর্মুলা বের করতে বাংলাদেশসহ আর্ন্তজাতিক মহল ব্যর্থ। আরসা, আরাকান আর্মিসহ বিভিন্ন সশস্ত্র গ্রুপ অন্তঃবিরোধ ধামাচাপা দিয়ে বিদ্রোহীদের ঐক্যবদ্ধতার নামে মিয়ানমারের সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক পরশক্তির খেলার অংশীদার হলে বাংলাদেশ নিজেই ক্ষতিগ্রস্থ হবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি বহু আগে থেকেই বলে আসছে— মার্কিন যুদ্ধবাদী নীতি দক্ষিণপূর্ব এশিয়াতে ন্যাটো সম্প্রসারণের লক্ষ্যে কাজ করছে। বাংলাদেশে ঘন ঘন মার্কিন সামরিক জেনারেলসহ নীতিনির্ধারকদের বাংলাদেশে আগমন, সরকারের সঙ্গে বৈঠক ইত্যাদি প্রমাণ করে যে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার মার্কিন নীতির অনুগামী হচ্ছে।
বঙ্গোপসাগর ও ভারত মহাসাগর ঘিরে পরাশক্তির ভুরাজনীতির খবরদারি প্রদর্শনের ক্ষেত্র প্রস্তুত করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি। দলটি বলছে, এরই মধ্যে পুনরায় এক লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। টেকনাফ-সেন্টমার্টিনসহ গোটা উপকূল অঞ্চলে বাংলাদেশিরা এখন নিজভূমে পরবাসী হয়ে উঠেছেন।
অন্তর্বর্তী সরকার দেশের ভবিষ্যত চিন্তা করে ‘মানবিক করিডোরে’র আর্ন্তজাতিক খেলার অংশী না হয়ে দেশের জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষা করবেন, সেটাই আশা প্রকাশ করে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি।