ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অনিয়ম বন্ধে নির্বাচনি কর্মকর্তা নিয়োগে নতুন কৌশল অবলম্বন করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। প্রিসাইডিং কর্মকর্তা নিয়োগে আনা হচ্ছে বড় পরিবর্তন। জেলা প্রশাসকদের পরিবর্তে ইসির নিজস্ব লোকদের রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেয়ারও পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
বিবিসি বাংলাকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন এসব তথ্য জানান।
বিগত জাতীয় নির্বাচনগুলোতে দেশে ৪০ হাজারেরও বেশি ভোটকেন্দ্রের দায়িত্বে ছিলেন প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সরকারি ও এমপিওভুক্ত স্কুল কলেজের শিক্ষকদেরই প্রিসাইডিং ও সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তার দায়িত্ব দেয়া হতো। তবে ভোটকেন্দ্রে প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের সহায়তায় নির্বাচনে নানা ধরনের অনিয়মের অভিযোগ ওঠে।
পক্ষপাতিত্বসহ নানা অভিযোগের প্রেক্ষিতে এবার প্রিসাইডিং অফিসার নিয়োগে কোনো পরিবর্তন আসবে কি-না, এমন প্রশ্নে সিইসি নাসির উদ্দিন বলেন, 'একচুয়ালি আমরা কিছু পরিবর্তন আনার চিন্তা করছি। কারণ বিগত নির্বাচনগুলোতে, যারা রিগিংয়ে (ভোট কারচুপি) সহায়তা করেছে, যে সমস্ত প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার, আমরা তাদেরকে যথাসম্ভব পরিহার করবো।'
তিনি বলেন, 'আমাদের নির্বাচন কমিশনের জেলা অফিসাররা খোঁজ-খবর নিচ্ছেন। আমরা অলরেডি এই কাজ শুরু করেছি। আমাদের চিন্তা আছে ব্যাংকের অফিসারদের দায়িত্ব দেয়া। কারণ এরা তো সরকারে ছিল না। এরা তো রিগিংয়ের সহযোগী ছিল না। আমরা ব্যাংকগুলোকে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনায় রাখছি।'
সাধারণত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ক্ষেত্রে সারাদেশের ৩০০টি সংসদীয় আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকেন জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনাররা। শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে বিগত তিনটি নির্বাচনে এসব কর্মকর্তাদের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ ছিল। এ কারণে বিভিন্ন সময় ইসির নিজস্ব লোকদের রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব দেয়ার কথাও উঠেছে। কিন্তু স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ইসির নিজস্ব লোকদের রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব দেয়া হলেও জাতীয় নির্বাচনে দেয়া হয়নি।
শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সুপারিশে ইসির নিজস্ব লোকদের রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগের প্রস্তাব দেয়া হয়।
জাতীয় নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বে কী জেলা প্রশাসকরাই থাকছে নাকি নতুন কেউ আসছে, এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, 'নির্বাচন কমিশনের অফিসাররা আগে তো এমন দায়িত্ব কখনো পালন করেনি। লোকাল গভর্নমেন্টে কিন্তু রিটার্নিং কর্মকর্তা ছিল। বহু সিটি কর্পোরেশনে তো তারা রিটার্নিং অফিসার ছিল। তবে শুধু নিজস্ব কর্মকর্তা হলেই তাদেরকে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব দিবে না ইসি। এক্ষেত্রে তাদের যোগ্যতাকে গুরুত্ব দেয়া হবে।'
তিনি আরও বলেন, 'মোটামুটিভাবে যোগ্যতা দেখে কিছু ক্ষেত্রে আমাদের অফিসারদের নিয়োগ করবো। তবে শর্ত হলো যে, তাদেরকে উপযুক্ত কর্মকর্তা হতে হবে। বাকিটা আমাদের জেলা প্রশাসকের ওপর নির্ভর করতে হবে।'
নির্বাচনের প্রশাসনিক সহযোগিতার প্রয়োজন হয়, সেক্ষেত্রে নিজস্ব কর্মকর্তাদের দিয়ে দায়িত্ব পালন করা হলে কী সমস্যা তৈরি হবে কি-না, এমন প্রশ্নে নাসির উদ্দিন বলেন, 'আশা করি সমস্যা হবে না। কারণ সরকার তো ম্যাসেজ দিচ্ছে সবাইকে। সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনা আছে। সব কিছু মিলিয়ে আমি মনে করি না যে অসহযোগিতা পাওয়া যাবে। আমি নিশ্চিত যে সবার সহযোগিতা আমি পাবো। সে বিশ্বাস আমার আছে।'
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অনিয়ম বন্ধে নির্বাচনি কর্মকর্তা নিয়োগে নতুন কৌশল অবলম্বন করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। প্রিসাইডিং কর্মকর্তা নিয়োগে আনা হচ্ছে বড় পরিবর্তন। জেলা প্রশাসকদের পরিবর্তে ইসির নিজস্ব লোকদের রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেয়ারও পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
বিবিসি বাংলাকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন এসব তথ্য জানান।
বিগত জাতীয় নির্বাচনগুলোতে দেশে ৪০ হাজারেরও বেশি ভোটকেন্দ্রের দায়িত্বে ছিলেন প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সরকারি ও এমপিওভুক্ত স্কুল কলেজের শিক্ষকদেরই প্রিসাইডিং ও সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তার দায়িত্ব দেয়া হতো। তবে ভোটকেন্দ্রে প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের সহায়তায় নির্বাচনে নানা ধরনের অনিয়মের অভিযোগ ওঠে।
পক্ষপাতিত্বসহ নানা অভিযোগের প্রেক্ষিতে এবার প্রিসাইডিং অফিসার নিয়োগে কোনো পরিবর্তন আসবে কি-না, এমন প্রশ্নে সিইসি নাসির উদ্দিন বলেন, 'একচুয়ালি আমরা কিছু পরিবর্তন আনার চিন্তা করছি। কারণ বিগত নির্বাচনগুলোতে, যারা রিগিংয়ে (ভোট কারচুপি) সহায়তা করেছে, যে সমস্ত প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার, আমরা তাদেরকে যথাসম্ভব পরিহার করবো।'
তিনি বলেন, 'আমাদের নির্বাচন কমিশনের জেলা অফিসাররা খোঁজ-খবর নিচ্ছেন। আমরা অলরেডি এই কাজ শুরু করেছি। আমাদের চিন্তা আছে ব্যাংকের অফিসারদের দায়িত্ব দেয়া। কারণ এরা তো সরকারে ছিল না। এরা তো রিগিংয়ের সহযোগী ছিল না। আমরা ব্যাংকগুলোকে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনায় রাখছি।'
সাধারণত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ক্ষেত্রে সারাদেশের ৩০০টি সংসদীয় আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকেন জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনাররা। শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে বিগত তিনটি নির্বাচনে এসব কর্মকর্তাদের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ ছিল। এ কারণে বিভিন্ন সময় ইসির নিজস্ব লোকদের রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব দেয়ার কথাও উঠেছে। কিন্তু স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ইসির নিজস্ব লোকদের রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব দেয়া হলেও জাতীয় নির্বাচনে দেয়া হয়নি।
শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সুপারিশে ইসির নিজস্ব লোকদের রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগের প্রস্তাব দেয়া হয়।
জাতীয় নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বে কী জেলা প্রশাসকরাই থাকছে নাকি নতুন কেউ আসছে, এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, 'নির্বাচন কমিশনের অফিসাররা আগে তো এমন দায়িত্ব কখনো পালন করেনি। লোকাল গভর্নমেন্টে কিন্তু রিটার্নিং কর্মকর্তা ছিল। বহু সিটি কর্পোরেশনে তো তারা রিটার্নিং অফিসার ছিল। তবে শুধু নিজস্ব কর্মকর্তা হলেই তাদেরকে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব দিবে না ইসি। এক্ষেত্রে তাদের যোগ্যতাকে গুরুত্ব দেয়া হবে।'
তিনি আরও বলেন, 'মোটামুটিভাবে যোগ্যতা দেখে কিছু ক্ষেত্রে আমাদের অফিসারদের নিয়োগ করবো। তবে শর্ত হলো যে, তাদেরকে উপযুক্ত কর্মকর্তা হতে হবে। বাকিটা আমাদের জেলা প্রশাসকের ওপর নির্ভর করতে হবে।'
নির্বাচনের প্রশাসনিক সহযোগিতার প্রয়োজন হয়, সেক্ষেত্রে নিজস্ব কর্মকর্তাদের দিয়ে দায়িত্ব পালন করা হলে কী সমস্যা তৈরি হবে কি-না, এমন প্রশ্নে নাসির উদ্দিন বলেন, 'আশা করি সমস্যা হবে না। কারণ সরকার তো ম্যাসেজ দিচ্ছে সবাইকে। সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনা আছে। সব কিছু মিলিয়ে আমি মনে করি না যে অসহযোগিতা পাওয়া যাবে। আমি নিশ্চিত যে সবার সহযোগিতা আমি পাবো। সে বিশ্বাস আমার আছে।'
দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের সতর্ক করে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আধিপত্যবাদী শক্তি এবং আধিপত্যবাদী শক্তির দালালরা গভীর চক্রান্ত করছে। তাদের পাতানো ষড়যন্ত্রের জালে আমাদের নেতাকর্মী বা আমাদের পক্ষের সমর্থক, পেশাজীবী সংগঠন কাউকে পা দেওয়া যাবে না।’
৯ ঘণ্টা আগেজয়নুল আবদিন বলেন, ‘কেউ কেউ বলে নির্বাচন কমিশন পরিবর্তন না করলে নির্বাচন হবে না। আবার কেউ কেউ বলে, শাপলা না দিলে ধানের শীষও বাদ দিতে হবে। খবরদার, খবরদার, শহীদ জিয়ার ধানের শীষ নিয়ে কোনো কথা বলা যাবে না।’
৯ ঘণ্টা আগেবিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু অভিযোগ করে বলেছেন, নির্বাচন যেন না হয় সেজন্য মিটফোর্ডের হত্যাকাণ্ডটি পরিকল্পিতভাবে ঘটানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, চাঁদপুরে মসজিদে ইমামের ওপর হামলা, খুলনায় যুবদল নেতাকে গুলি ও পায়ের রগ কেটে হত্যা। সবই নির্বাচন বানচাল ও দেশে গণতন্ত্র যাতে প্রতিষ্ঠিত না হয় সেজ
১০ ঘণ্টা আগেসাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জাতীয় পার্টি থেকে বের হয়ে যে নেতারা বিভিন্ন সময়ে নানা দল তৈরি করেছেন, তারা ফের একজোটে আসতে চান ৷ বিগত কয়েক বছরে জাতীয় পার্টি থেকে যে নেতারা নানা কারণে বহিষ্কৃত হয়েছেন, তারা সেই সাবেক নেতাদের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ জাতীয় পার্টি গড়ে তুলতে চান।
১০ ঘণ্টা আগে