প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের প্রতিবাদ

আ.লীগ নিষিদ্ধ চেয়ে মধ্যরাতে বিক্ষোভ ঢাবিতে

প্রতিনিধি, ঢাবি
প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৫, ০৩: ১১
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে গভীর রাতে ঢাবিতে বিক্ষোভ। ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার পরিকল্পনা সরকারের নেই বলে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের দেওয়া বক্তব্যের প্রতিবাদে মধ্যরাতে বিক্ষোভ করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা। জুলাই-আগস্ট গণহত্যায় জড়িত অভিযোগে তারা অবিলম্বে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) দিবাগত রাত ২টার দিকে ঢাবির বিভিন্ন হল থেকে শিক্ষার্থীরা মিছিল বের করেন। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ চেয়ে এসব মিছিল টিএসসিতে গিয়ে শেষ হয়।

এ দিন ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী কমফোর্ট ইরো বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে। ওই বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই। তবে দলটির যেসব নেতার বিরুদ্ধে হত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধসহ অন্যান্য অপরাধের অভিযোগ রয়েছে, তাদের বাংলাদেশের আদালতে বিচার করা হবে।

প্রধান উপদেষ্টার এ বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রচারিত হলে তার প্রতিক্রিয়া জানাতেই গভীর রাতে রাস্তায় নেমে আসেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা। ‘আমার সোনার বাংলায় আওয়ামী লীগের ঠাঁই নাই’, ‘আওয়ামী লীগের গদিতে আগুন জ্বালো একসাথে’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন তারা।

অনলাইনেও প্রধান উপদেষ্টার এই বক্তব্যে জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে যুক্ত শিক্ষার্থীরা তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তাদের অনেকেই লিখেছেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা না হলে প্রয়োজনে তারা ফের রাজপথে আন্দোলন গড়ে তুলবেন।

জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহও নিজের ফেসবুক প্রোফাইল থেকে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছেন।

দিবাগত রাত ১২টা ৫৫ মিনিটে দেওয়া স্ট্যাটাসে হাসনাত লিখেছেন, ‘ড. ইউনুস, আওয়ামী লীগ ৫ আগস্টই নিষিদ্ধ হয়ে গেছে। উত্তর পাড়া ও ভারতের প্রেসক্রিপশনে আওয়ামী লীগের চ্যাপ্টার ওপেন করার চেষ্টা করে লাভ নেই।’

এর ঘণ্টাখানেক পরে অবশ্য হাসনাত আরও একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। দীর্ঘ সেই স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, ভারতের প্রেসক্রিপশনে সেনানিবাস থেকে দেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করার ‘ষড়যন্ত্র’ চলছে। সংসদ নির্বাচনে আসনের বিনিময়ে এই ‘ষড়যন্ত্রে’র সঙ্গে তাদের সমঝোতার জন্য চাপ দেওয়া হয়েছে। অন্য কিছু রাজনৈতিক দল এতে রাজি হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে তাদের।

হাসনাত আরও লিখেছেন, তারা এই ‘চাপে’র কাছে নতি স্বীকার করেননি। তিনি তার স্ট্যাটাসে সবাইকে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবি তুলেছেন।

ad
ad

ঘরের রাজনীতি থেকে আরও পড়ুন

তারেক রহমানের দেশে ফেরার নেপথ্যে নিরাপত্তা ও নির্বাচন

লন্ডনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকের পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। দলীয় সূত্রে বলা হচ্ছে, তিনি ২০২৫ সালের মধ্যেই দেশে ফিরবেন এবং নির্বাচনকালীন সময়ে দলের নেতৃত্ব দেবেন।

৯ ঘণ্টা আগে

এবার ৫ সচিবকে বাধ্যতামূলক অবসর

সরকারের পাঁচজন সচিব এবং একজন গ্রেড-১ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে সরকার। বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) রাতে তাদের বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়ে আলাদা আলাদা প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

১৬ ঘণ্টা আগে

‘রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের পদ্ধতি পরিবর্তনে সব দল আগ্রহী’

অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, কমিশনের সঙ্গে বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনায় সংবিধানের ৪৮(১) অনুচ্ছেদে বিদ্যমান রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতিটিকে পরিবর্তন করে নতুন পদ্ধতি প্রণয়নের বিষয়ে মত দিয়েছে।

১ দিন আগে

গণঅভ্যুত্থানকে স্মরণে ১ জুলাই থেকে কর্মসূচি

মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, আমাদের এই কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, জুলাইয়ে যে রকম পুরো বাংলাদেশ এক হয়েছিল, আবার সে অনুভূতিটাকে ফিরিয়ে আনা। এর জন্য কিছু কর্মসূচি নিয়ে কাজ চলছে।

১ দিন আগে