খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি
বর্ষা মৌসুমের টানা বৃষ্টিতে খাগড়াছড়ির মহালছড়ি-সিন্দুকছড়ি-জালিয়াপাড়া সড়কের অন্তত ৩৭টি পয়েন্টে ভূমিধস ও সড়ক দেবে গিয়ে যান চলাচল মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। প্রায় ২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই দৃষ্টিনন্দন সড়কটিকে ঘিরে স্থানীয়দের পাশাপাশি পর্যটকরাও ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতির শিকার হচ্ছেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মহালছড়ি-সিন্দুকছড়ি-জালিয়াপাড়া সড়কটি পার্বত্য অঞ্চলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি সংযোগমাধ্যম। নতুন করে নির্মাণের পর সড়কটি শুধু যোগাযোগ-ই সহজ করেনি, বরং এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যও পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। তবে সাম্প্রতিক ভারী বৃষ্টিতে কাটাপাহাড়সহ একাধিক এলাকায় সড়ক দেবে গেছে এবং পাহাড় ধসে পড়েছে। এতে সড়কের বেশকিছু পয়েন্টে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। আবার সীমিত পরিসরে যেসব যানবাহন চলছে, সেগুলোকেও যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কায় থাকতে হয়।
স্থানীয় ব্যবসায়ী সুইথৈই মারমা ও রফিকুল ইসলাম জানান, এই সড়ক দিয়ে মহালছড়ির কৃষিপণ্যসহ বিভিন্ন মালামাল চট্টগ্রাম-ঢাকা অঞ্চলে পাঠানো হয়। সড়কটি ভেঙে গেলে বিকল্প পথে পণ্য পরিবহনে সময় ও খরচ দুটোই বাড়বে।
টানা বৃষ্টিতে সড়কের বিভিন্ন স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ছবি: রাজনীতি ডটকম
আগামীতে বৃষ্টির পানিতে রাস্তার আর কোনো অংশ যেন দেবে না যায়, সেজন্য স্থানীয়রা ভাঙনকবলিত স্থানে পলিটিন দিয়ে ঢেকে বালু ও কংক্রিট দিয়ে রেখেছেন। তারা জানান, মহালছড়িতে উৎপাদিত সকল কৃষিপণ্যসহ সব ধরনের মালামাল এই সড়ক দিয়ে আনা-নেওয়া করা হয়। দ্রুত স্থায়ীভাবে সড়কটি মেরামত না করলে, বৃষ্টিতে যেকোনো মুহুর্তে ধসে পড়তে পারে।
সড়কটি দিয়ে নিয়মিত চলাচলকারীরা জানান, কিছু জায়গায় পলিথিন, বালু ও কংক্রিট দিয়ে অস্থায়ীভাবে মেরামত করা হলেও তা যথেষ্ট নয়। স্থায়ী ও কার্যকর সংস্কার না হলে বর্ষা চলাকালীন যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
খাগড়াছড়ি ট্রাক মালিক সমিতির সভাপতি আসলাম কালু বলেন, 'বড় ক্ষতির আগেই জরুরি ভিত্তিতে সড়কটির সংস্কার প্রয়োজন। না হলে পুরো যোগাযোগ ব্যবস্থা মুখ থুবড়ে পড়বে।'
খাগড়াছড়ি সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাকসুদুর রহমান জানান, সড়কটি সংস্কারের জন্য ইতোমধ্যে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাদের সুপারিশ অনুযায়ী স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদি প্রকল্পের মাধ্যমে সড়কটি টেকসইভাবে রক্ষা করা হবে।
খাগড়াছড়ির সড়কটি পর্যটনের পাশাপাশি স্থানীয় অর্থনীতির জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। তাই দ্রুত সড়কটির সংস্কার দাবি করছেন সবাই। ছবি: রাজনীতি ডটকম
তিনি বলেন, ‘যেহেতু এখানে ম্যাসিভ ধস হয়েছে, প্রাথমিকভাবে পাহাড় ধসের মাটি সরানো হয়েছে। তবে দীর্ঘ মেয়াদে পাহাড় ধস রোধে আমরা পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সুপারিশের ভিত্তিতে কাজ করব।’
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়ন (২০ ইসিবি) এই সড়কটি নির্মাণ করে। এটি শুধু স্থানীয়দের জন্য নয়, পর্যটন এবং পণ্য পরিবহনের দিক থেকেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি যোগাযোগ ব্যবস্থা।
বর্ষা মৌসুমের টানা বৃষ্টিতে খাগড়াছড়ির মহালছড়ি-সিন্দুকছড়ি-জালিয়াপাড়া সড়কের অন্তত ৩৭টি পয়েন্টে ভূমিধস ও সড়ক দেবে গিয়ে যান চলাচল মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। প্রায় ২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই দৃষ্টিনন্দন সড়কটিকে ঘিরে স্থানীয়দের পাশাপাশি পর্যটকরাও ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতির শিকার হচ্ছেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মহালছড়ি-সিন্দুকছড়ি-জালিয়াপাড়া সড়কটি পার্বত্য অঞ্চলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি সংযোগমাধ্যম। নতুন করে নির্মাণের পর সড়কটি শুধু যোগাযোগ-ই সহজ করেনি, বরং এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যও পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। তবে সাম্প্রতিক ভারী বৃষ্টিতে কাটাপাহাড়সহ একাধিক এলাকায় সড়ক দেবে গেছে এবং পাহাড় ধসে পড়েছে। এতে সড়কের বেশকিছু পয়েন্টে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। আবার সীমিত পরিসরে যেসব যানবাহন চলছে, সেগুলোকেও যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কায় থাকতে হয়।
স্থানীয় ব্যবসায়ী সুইথৈই মারমা ও রফিকুল ইসলাম জানান, এই সড়ক দিয়ে মহালছড়ির কৃষিপণ্যসহ বিভিন্ন মালামাল চট্টগ্রাম-ঢাকা অঞ্চলে পাঠানো হয়। সড়কটি ভেঙে গেলে বিকল্প পথে পণ্য পরিবহনে সময় ও খরচ দুটোই বাড়বে।
টানা বৃষ্টিতে সড়কের বিভিন্ন স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ছবি: রাজনীতি ডটকম
আগামীতে বৃষ্টির পানিতে রাস্তার আর কোনো অংশ যেন দেবে না যায়, সেজন্য স্থানীয়রা ভাঙনকবলিত স্থানে পলিটিন দিয়ে ঢেকে বালু ও কংক্রিট দিয়ে রেখেছেন। তারা জানান, মহালছড়িতে উৎপাদিত সকল কৃষিপণ্যসহ সব ধরনের মালামাল এই সড়ক দিয়ে আনা-নেওয়া করা হয়। দ্রুত স্থায়ীভাবে সড়কটি মেরামত না করলে, বৃষ্টিতে যেকোনো মুহুর্তে ধসে পড়তে পারে।
সড়কটি দিয়ে নিয়মিত চলাচলকারীরা জানান, কিছু জায়গায় পলিথিন, বালু ও কংক্রিট দিয়ে অস্থায়ীভাবে মেরামত করা হলেও তা যথেষ্ট নয়। স্থায়ী ও কার্যকর সংস্কার না হলে বর্ষা চলাকালীন যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
খাগড়াছড়ি ট্রাক মালিক সমিতির সভাপতি আসলাম কালু বলেন, 'বড় ক্ষতির আগেই জরুরি ভিত্তিতে সড়কটির সংস্কার প্রয়োজন। না হলে পুরো যোগাযোগ ব্যবস্থা মুখ থুবড়ে পড়বে।'
খাগড়াছড়ি সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাকসুদুর রহমান জানান, সড়কটি সংস্কারের জন্য ইতোমধ্যে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাদের সুপারিশ অনুযায়ী স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদি প্রকল্পের মাধ্যমে সড়কটি টেকসইভাবে রক্ষা করা হবে।
খাগড়াছড়ির সড়কটি পর্যটনের পাশাপাশি স্থানীয় অর্থনীতির জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। তাই দ্রুত সড়কটির সংস্কার দাবি করছেন সবাই। ছবি: রাজনীতি ডটকম
তিনি বলেন, ‘যেহেতু এখানে ম্যাসিভ ধস হয়েছে, প্রাথমিকভাবে পাহাড় ধসের মাটি সরানো হয়েছে। তবে দীর্ঘ মেয়াদে পাহাড় ধস রোধে আমরা পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সুপারিশের ভিত্তিতে কাজ করব।’
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়ন (২০ ইসিবি) এই সড়কটি নির্মাণ করে। এটি শুধু স্থানীয়দের জন্য নয়, পর্যটন এবং পণ্য পরিবহনের দিক থেকেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি যোগাযোগ ব্যবস্থা।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নাম বদলানোর পরামর্শ দিয়েছেন বিশিষ্ট দার্শনিক, মানবাধিকার কর্মী, পরিবেশবাদী ও রাষ্ট্রচিন্তক ফরহাদ মজহার। শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
১০ ঘণ্টা আগেরাজনৈতিক দলগুলোকে সংস্কার প্রসঙ্গে একমত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে নাহিদ বলেন, আমরা আহ্বান জানাব— জনগণের দিকে তাকিয়ে, বাংলাদেশের দিকে তাকিয়ে আমরা সব রাজনৈতিক দল যেন সংস্কারে পক্ষে ঐকমত্য পোষণ করি। এই সংস্কার কোনো দলের বিপক্ষে নয়, এই সংস্কার বাংলাদেশের পক্ষে।
১০ ঘণ্টা আগেচকরিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এনামুল হক বলেন, ‘কক্সবাজার জেলার মানুষের আবেগের নাম সালাহউদ্দিন আহমদ। আর সেই আবেগকে কটুক্তি করে চকরিয়ার উপর দিয়ে যাওয়ার সাহস কী করে হয় নাসির পাটোয়ারীর। প্রকাশ্যে তার বক্তব্য প্রত্যাহার করে ক্ষমা চাইতে হবে। অন্যথায় তার জবাব রাজপথেই দেওয়া হবে।’
১১ ঘণ্টা আগেরাজশাহীতে পুকুরে ডুবে শাহনেওয়াজ শাহরিয়া সূর্য (১৭) নামের এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরে নগরের হযরত শাহমখদুম (র.) কেন্দ্রীয় ঈদগাহ সংলগ্ন পুকুরে গোসল করতে গিয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
১২ ঘণ্টা আগে