দেশে নতুন রাজনৈতিক মেরুকরণের বার্তা জামায়াতের

ডয়েচে ভেলে
প্রকাশ: ২০ জুলাই ২০২৫, ০৮: ৪২
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রথমবারের মতো করা সমাবেশে শনিবার (১৯ জুলাই) জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের ঢল নামে। ছবি : সংগৃহীত

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রথমবারের মতো সমাবেশ করলো জামায়াতে ইসলামী। এতে সমমনা অন্যান্য দলের নেতারাও আমন্ত্রিত ছিলেন। তাদের কেউ কেউ বক্তৃতাও দিয়েছেন সেখানে। তবে জামায়াতের এক সময়ের জোটসঙ্গী বিএনপির কোনো নেতা এই সমাবেশে ছিলেন না। তবে এর মাধ্যমে দেশে নতুন রাজনৈতিক মেরুকরণের বার্তা দিল দলটি।

অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের লক্ষ্যে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বা সমান সুযোগ নিশ্চিত করাসহ সাত দফা দাবিতে জামায়াতে ইসলামী এই জাতীয় সমাবেশ করে।

সমাবেশের সভাপতি হিসাবে বক্তৃতা দেয়ার সময় দুইবার অসুস্থ হয়ে পড়েন জামায়াতের আমীর ডা. শফিকুর রহমান। তবে অসুস্থ অবস্থাতেই মঞ্চে বসে বক্তৃতা শেষ করেন তিনি। মৌলিক সংস্কার ছাড়া নির্বাচনে ফিরে যাওয়াকে তিনি পুরনো ব্যবস্থা বলে উল্লেখ করে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ঘোষণা দিয়েছেন।

জামায়াতের আমীর বলেন, 'পুরনো যা কিছু আছে তা সংস্কার করতে হবে। সংস্কার না করে কিছু করতে গেলে আগে যা ছিলো তাই হবে। সংবিধান নতুন করে লিখতে হবে। জুলাই গণহত্যার বিচার অবশ্যই করতে হবে।'

বক্তব্যের এক পর্যায়ে জামায়াতের আমীর বলেন, "একটা লড়াই হয়েছে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে, আরেকটা লড়াই হবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে। জামায়াত যে দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়বে, তার প্রথম প্রমাণ হচ্ছে...।" এ কথা শেষ করার আগেই তিনি অসুস্থ হয়ে মঞ্চে পড়ে যান। তবে পরে উঠে তিনি তার বক্তৃতা শেষ করেন।

জামায়াতের দাবিগুলো হলো - ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ও অন্যান্য সময় সংঘটিত সকল গণহত্যার বিচার, রাষ্ট্রের সকল স্তরে প্রয়োজনীয় মৌলিক সংস্কার, ঐতিহাসিক জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্রের পূর্ণ বাস্তবায়ন, জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের পরিবারের পুনর্বাসন, জনগণের প্রকৃত মতামতের প্রতিফলন ঘটাতে পিআর (প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন, প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার জন্য সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা গ্রহণ এবং রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের জন্য সমান সুযোগ ও ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড' নিশ্চিতকরণ।

এই সমাবেশে বিএনপিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। আমন্ত্রণ পায়নি এবি পার্টি ও বাম রাজনৈতিক দলগুলোও। তবে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), ইসলামী আন্দোলন w গণঅধিকার পরিষদসহ আরও কয়েকটি দলের নেতা আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে সমাবেশে উপস্থিত হন।

সমাবেশে অংশ নেয়া ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউর রহমান গাজী বলেন, 'আমরা যারা বিভিন্ন দলের ওখানে ছিলাম তারা সবাই সাত দফা দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়েছি। আমরাও মনে করি মৌলিক সংস্কার না করে নির্বাচন করলে কোনো পরিবর্তন আসবে না।'

তিনি বলেন, 'এই সমাবেশের মধ্য দিয়ে সামনের রাজনীতিতে মেরুকরণ আরও স্পষ্ট হয়েছে। এটা ৫ আগস্টের পরই শুরু হয়েছে, এখন ধীরে ধীরে তা আরও বাড়ছে। আসলে আমরা যারা আগে মৌলিক সংস্কার চাই, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড চাই, নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত চাই, তারা এক হয়েছি। এখানে ইসলামী দল ছাড়াও এনসিপির মত তরুণদের দল আছে। কিছু রাজনৈতিক দল আছে যারা মৌলিক সংস্কার ছাড়াই যেনতেন একটা নির্বাচন করে ক্ষমতায় যেতে চায়। তারা আমাদের সঙ্গে নাই। তাদের সমাবেশে দেখাও যায়নি।'

এর আগে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসমাবেশে পিআর পদ্ধতির নির্বাচনকে সামনে নিয়ে আসা হয়। সেখানেও জামায়াত, এনসিপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল অংশ নেয়। সেখানেও বিএনপিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. জাহেদ উর রহমান মনে করেন, জামায়াত আগে থেকেই চাইছে একটি সম্মিলিত বিরোধী দল গড়ে তুলতে, যার প্রধান ফোর্স হবে ইসলামী দলগুলো। ফলে যেসব কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক দলের সাথে তাদের বিরোধিতা ছিলো তাদের কাছে টানছে। এর বাইরে এনসিপির মতো আরো কিছু দলকে তারা সঙ্গে নিতে চায়। আর সমাবেশের মধ্য দিয়ে জামায়াত তার অবস্থানের জানান দিল।

Jamaat Amir

সমাবেশে বক্তব্য দেওয়ার সময় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে মঞ্চে পড়ে যান জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান। পরে মঞ্চে ডায়াসের পাশে বসেই বক্তব্য শেষ করেন তিনি। ছবি : সংগৃহীত

এনসিপি জামায়াতের দিকে ঝুঁকছে বলেও মনে করেন জাহেদ। তিনি বলেন, 'সংস্কার তো সব দলই চায়। কিন্তু লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড, আইনশৃঙ্খলা, নির্বাচনের পরিবেশ নাই। পিআর পদ্ধতির নির্বাচন এগুলো নিয়ে জামায়াত ও এনসিপি এক সুরে কথা বলছে। জামায়াত পাটগ্রাম থানায় হামলার বিরুদ্ধে কথা বলেছে। ওটা বিএনপির লোকজন করেছে। কিন্তু দুই দিন আগে পটিয়া থানায় যে বৈষম্যবিরোধীরা হামলা করেছে, সেটা নিয়ে কিন্তু জামায়াত কথা বলেনি।'

জামায়াতের এই সমাবেশে কয়েক লাখ লোকের সমাগম হয়। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ছাড়িয়ে আশপাশের সড়কে সমাবেশ বিস্তৃত হয়। আর পুরো ঢাকা শহরে তৈরি হয় তীব্র যানজট। একদিন আগে থেকেই সারাদেশ থেকে জামায়াত ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ঢাকায় আসতে শুরু করেন। জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের জানান, বিভিন্ন জেলা থেকে ১১ হাজার বাস, আট হাজার গাড়ি, চারটি ট্রেনে নেতাকর্মী সমর্থকরা ঢাকায় আসেন। লঞ্চেও এসেছেন অনেকে।

এই প্রসঙ্গটি উল্লেখ করে জাহেদ উর রহমান বলেন, 'সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশে জামায়াত তার শক্তি দেখাতে চাইছে। আবার বিএনপিকে ওই সমাবেশে আমন্ত্রণ জানায় নি বা বিএনপি যায়নি। বিষয়গুলো নতুন মেরুকরণের ইঙ্গিত দিচ্ছে।'

মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের এ সমাবেশে সারা দেশ থেকে যোগ দিয়েছিলেন ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী দলটির কয়েক লাখ কর্মী-সমর্থক। আওয়ামী লীগ শাসনামলে ১১ বছর ঢাকায় এককভাবে সমাবেশ করার সুযোগ পায়নি জামায়াত। ২০০৯ সালের আগে দলটি সমাবেশ করত পল্টন ময়দানে। ২০১২ সালে ময়দানটিতে রাজনৈতিক সমাবেশ বন্ধ করে সরকার। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে রাজনৈতিক সমাবেশ আয়োজন শুরু হয় একই বছর থেকে। বিএনপির জোটের সঙ্গে জামায়াত সমাবেশ করলেও এককভাবে কখনও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কর্মসূচি করতে পারেনি।

এবারের সমাবেশের বিভিন্ন স্থানে ৩৩টি এলইডি স্ক্রিন সেট বসানো হয় যাতে নেতাকর্মীরা সরাসরি বক্তব্য শুনতে পারেন। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও তার আশপাশে তিন শতাধিক মাইক লাগানো হয়। সমাবেশস্থলে প্রায় ছয় হাজার স্বেচ্ছাসেবক দায়িত্ব পালন করেন বলে জানিয়েছেন জামায়াতের নেতারা। আর ছিল আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক নিরাপত্তা।

একাত্তরের ভূমিকার জন্য জামায়াতের ক্ষমা চাওয়া উচিত, এমন অবস্থানের কারণে ২০১৯ সালে জামায়াত থেকে বহিষ্কার করা হয় ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি মজিবুর রহমান মঞ্জুকে। পরের বছর তিনি গঠন করেন- আমার বাংলাদেশ পার্টি বা এবি পার্টি। জামায়াতে ইসলামী এবং দলটির ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরের বেশ কিছু নেতাকর্মী যোগ দেন এবি পার্টিতে।

এবি পার্টি এখন পিআর পদ্ধতির নির্বাচনের পক্ষে থাকলেও দলটিকে জামায়াতের এই সমাবেশে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। দলটির চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান ভুঁইয়া মঞ্জু বলেন, 'আমরাও তো পিআর পদ্ধতির নির্বাচন চাই। কিন্তু কোনো কারণে হয়তো আমাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।'

১৯৯৯ সাল থেকে পরের দুই যুগ বিএনপি ও জামায়াত জোটসঙ্গী ছিল। ২০০১-২০০৬ পর্যন্ত একসঙ্গে সরকারও পরিচালনা করে দল দুটি। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে সমঝোতার ভিত্তিতে দুই দল আলাদা হয়ে যায়। ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর বিএনপির যুগপৎ আন্দোলন থেকেও সরে যায় জামায়াত। জুলাই অভ্যুত্থানে দল দুটি অংশ নিলেও ৫ আগস্টের পর বিএনপির প্রধান নির্বাচনী প্রতিযোগী হওয়ার চেষ্টা করছে জামায়াত।

বিএনপির যুগ্ম মহাসসিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, 'আসলে তারা আমাদের দাওয়াত দেয়নি এটা তাদের দলীয় ব্যাপার। তবে এই ধরনের শোডাউন করে রাজনীতি হয় না। তারা আসলে সমাবেশের মাধ্যমে শোডাউন করেছে। জামায়াত একটি ক্যাডারভিত্তিক সংগঠন। তারা সারাদেশ থেকে তাদের সদস্যদের বাস-ট্রাক, ট্রেন, লঞ্চ ভাড়া করে ঢাকায় এনেছে। তারা তাদের দাবি তুলে ধরেছে। জনগণের কাছে তাদের এই দাবির কোনো সমর্থন আছে কি-না সেটাই দেখার বিষয়। ক্যাডার কর্মীদের নিয়ে সমাবেশ করলে দাবির গ্রহণযোগ্যতা নিরূপণ করা যায় না।'

এমরান সালেহ মনে করেন, দেশের মানুষ পিআর পদ্ধতির নির্বাচন চায় না। তিনি বলেন, 'এতে দলের স্বৈরাচারী ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়। তারা ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্যে এটাকে সামনে নিয়ে আসছে। আমরাও সংস্কার চাই। দেশে এখন দ্রুত নির্বাচন দরকার।'

এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন বলেন, 'বিচার, মৌলিক, সংস্কার এবং নির্বাচন-এই তিনটি প্রধান দাবি। এখন বিচার ও মৌলিক সংস্কার ছাড়া নির্বাচন অর্থহীন। জামায়াতের সমাবেশে সেই কথাই বলা হয়েছে। আমরাও একমত। কিন্তু বিএনপি কেন যেন এই দাবি থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। আমরা চাই না রাজনীতিতে কোনো মেরুকরণ হোক। আমরা ঐক্য চাই। বিএনপি সেই ঐক্যের নেতৃত্ব নিতে পারত। তিন্তু তারা দূরে সরে যাচ্ছে।'

জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির দূরত্ব বাড়ছে বলেও মনে করেন মনিরা। তিনি বলেন, 'বিএনপির দিক থেকে তাদের নানা ভাষায় আক্রমণ করা হচ্ছে। এটা ঐক্যের পথে অন্তরায়। আমরা চাই সবাই মিলে জুলাইয়ের চেতনায় দেশ গড়তে।'

বাম গণতান্ত্রিক জোটের কোনো দলও জামায়াতের সমাবেশে আমন্ত্রণ পায়নি জানিয়ে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, 'জামায়াত নির্বাচনকেই গুরুত্ব দিচ্ছে। তবে এই সমাবেশের মাধ্যমে তাদের দিকের একটি রাজনৈতিক ঐক্য গড়ে তোলারই চেষ্টা করেছে। তারা এবার সমাবেশের মাধ্যমে শক্তি প্রদর্শন করে সেই বার্তাই দিয়েছে।'

তিনই বলেন, 'তাদের নতুন রাজনৈতিক বলয় গড়ে তোলার প্রধান টার্গেট ইসলামী দলগুলো। এর বাইরেও আরও দল আছে যাদের তারা সঙ্গে নিতে চায়। নির্বাচনকে সামনে রেখে তারা একটি মোর্চা গঠন করে শক্তি হিসাবে আবির্ভূত হতে চায়।'

ad
ad

রাজনীতি থেকে আরও পড়ুন

৭২-এর মুজিববাদী সংবিধান রেখে নতুন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, ১৯৭২ সালের মুজিববাদী সংবিধান রেখে কখনোই নতুন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। এজন্য আমাদের নতুন সংবিধান ও গণপরিষদ নির্বাচন প্রয়োজন।

১৮ ঘণ্টা আগে

মঞ্চে পড়ে গেলেন জামায়াত আমির, বসে শেষ করলেন বক্তব্য

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মহাসমাবেশে বক্তৃতা করতে করতেই মঞ্চে ঢলে পড়েছেন জামআয়াতে ইসালামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। পরে একাধিকবার দাঁড়িয়ে বকতৃতা করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন। শেষ পর্যন্ত বসেই বক্তৃতা শেষ করেন তিনি।

১৯ ঘণ্টা আগে

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন ছাড়া অন্য কোনো পথ নেই : আমীর খসরু

আমীর খসরু বলেন, জনগণের ভোটে, জনগণের মালিকানায় নির্বাচিত সংসদ-সরকার; এর বিকল্প নেই। বাংলাদেশের মানুষ দীর্ঘদিন এজন্য ভোটের প্রতীক্ষায় রয়েছে। যারা নির্বাচন চান না, তাদের দল করার কোনো প্র‍য়োজনীয়তা আছে কিনা, সেটা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।

১৯ ঘণ্টা আগে

জামায়াতের সমাবেশে আমন্ত্রণ পায়নি বিএনপি: সালাহউদ্দিন আহমদ

জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় সমাবেশে বিএনপিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।

১৯ ঘণ্টা আগে