ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম
কিডনি আমাদের শরীরের খুবই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এটি রক্ত পরিশোধন করে, বর্জ্য পদার্থ প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে বের করে দেয় এবং শরীরের পানির ভারসাম্য ঠিক রাখে। কিন্তু অনেক সময় কিডনির ভেতরে পাথর তৈরি হয়। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় একে বলা হয় "কিডনি স্টোন" বা "রেনাল ক্যালকুলাই"। এই পাথরগুলো সাধারণত ক্যালসিয়াম, অক্সালেট ও ইউরিক অ্যাসিড জাতীয় পদার্থ দিয়ে তৈরি হয়। যখন এই পদার্থগুলোর পরিমাণ প্রস্রাবে বেশি হয়ে যায় এবং তা পানি দিয়ে ঠিকভাবে গলে যেতে না পারে, তখন তা জমে জমে পাথর তৈরি করে।
এই পাথর ছোট হলে হয়তো আপনি টেরও পাবেন না। কিন্তু যখন পাথরটা বড় হতে থাকে কিংবা কিডনির ভেতর থেকে ইউরেটারে (প্রস্রাবের পথ) নেমে যায়, তখন অসহ্য যন্ত্রণা শুরু হয়। অনেক সময় এই যন্ত্রণা এতটাই তীব্র হয় যে রোগী ব্যথায় ছটফট করতে থাকে, মেঝেতে গড়াগড়ি দেয়, ঠিক মতো দাঁড়াতে বা বসতে পারে না।
কীভাবে বুঝবেন কিডনিতে পাথর হয়েছে?
কিডনিতে পাথর হলে একাধিক লক্ষণ দেখা দেয়। তবে লক্ষণগুলো ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হতে পারে, বিশেষ করে পাথরের অবস্থান, আকার ও সংখ্যার ওপর নির্ভর করে। সবচেয়ে সাধারণ এবং উল্লেখযোগ্য লক্ষণ হলো হঠাৎ তীব্র ব্যথা—যাকে বলা হয় “রেনাল কোলিক”। সাধারণত এই ব্যথা পিঠের নিচের দিকে, পাশে, অথবা তলপেটের এক পাশে শুরু হয় এবং ধীরে ধীরে তলপেট ও যৌনাঙ্গের দিকে ছড়িয়ে পড়ে। এই ব্যথা কখনও স্থায়ী হয় না, ওঠানামা করে, মাঝে মাঝে খুব বেশি বেড়ে যায়।
এই ব্যথার ধরন এমন যে অনেক রোগী মনে করেন, হয়তো তাদের অ্যাপেনডিসাইটিস হয়েছে বা প্রসব বেদনা শুরু হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ডায়াবেটিস অ্যান্ড ডাইজেস্টিভ অ্যান্ড কিডনি ডিজিজেস (এনআইডিডিকেডি) জানিয়েছে, "একটা কিডনি স্টোন যখন ইউরেটারে চলে যায়, তখন এটি মূত্রপ্রবাহের পথ আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করতে পারে। ফলে প্রচণ্ড ব্যথা, প্রস্রাবে রক্ত, বমি ভাব ও অন্যান্য উপসর্গ দেখা দেয়।”
অন্য লক্ষণগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো প্রস্রাব করার সময় জ্বালাপোড়া। অনেকেই জানান, তারা প্রস্রাবের সময় আগুনের মতো জ্বালা অনুভব করেন, এবং মনে হয় পুরো মূত্রনালী পুড়ছে। এছাড়া প্রস্রাবে রক্ত দেখা যেতে পারে। কখনো তা খালি চোখে বোঝা যায়, আবার কখনো পরীক্ষায় ধরা পড়ে। রক্তের কারণে প্রস্রাব লালচে, বাদামি বা গোলাপি রঙের হয়ে যেতে পারে।
একই সঙ্গে প্রস্রাব করার ইচ্ছা খুব ঘন ঘন হতে পারে। যদিও পরিমাণে খুব কম প্রস্রাব হয়। অনেক রোগীর ক্ষেত্রে প্রস্রাবে দুর্গন্ধ বা ঘোলা ভাব দেখা যায়, যা ইঙ্গিত করে ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন (ইউটিআই)-এর প্রতি। এমনকি কারও কারও ক্ষেত্রে জ্বর ও কাঁপুনিও শুরু হয়, বিশেষত যখন পাথরের কারণে কিডনিতে সংক্রমণ হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের মায়ো ক্লিনিক-এর ইউরোলজিস্ট ডা. রবার্ট স্যান্তেলা বলেন, "রোগীরা পেছনের নিচের দিকে হঠাৎ একটি ধারালো, কুঁচকানো ব্যথা অনুভব করেন, আমাদের প্রথম সন্দেহ হয় কিডনিতে পাথর হয়েছে কি না। অনেকেই ভেবেই নেন যে হয়তো পেশির টান বা অন্য কিছু, কিন্তু কিডনির পাথর এক ধরণের স্বতন্ত্র ব্যথা তৈরি করে—যা অন্য কিছুতে হয় না।”
বমি ভাব ও বমিও কিডনিতে পাথরের আরেকটি লক্ষণ। যেহেতু শরীর ব্যথার প্রতিক্রিয়ায় এক ধরনের স্নায়বিক উত্তেজনায় পড়ে, তাই অনেক সময় বমি ভাব, মাথা ঘোরা কিংবা হজমের গোলমাল দেখা দিতে পারে। অনেক রোগী খাওয়ার ইচ্ছা হারিয়ে ফেলেন।
অনেক সময় পাথর দীর্ঘদিন ধরে কিডনিতে পড়ে থাকে এবং কোনো উপসর্গই দেখা দেয় না। এই ধরণের পাথর সাধারণত ছোট আকারের হয় এবং ধীরে ধীরে শরীর থেকে বেরিয়ে যেতে পারে। কিন্তু বড় আকারের পাথর থেকে গেলে তা ইউরিনারি ট্র্যাক্ট বন্ধ করে দিতে পারে, যা কিডনির কার্যক্ষমতাকেই নষ্ট করে দিতে পারে।
ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, সান ফ্রান্সিসকো-এর কিডনি বিশেষজ্ঞ ডা. লুইস হারম্যান বলেন, "রোগীরা অনেক সময় এক বছর ধরে অসুস্থ বোধ করেন, কিন্তু তারা বুঝতেই পারেন না সমস্যাটা কোথায়। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর দেখা যায়, একটি বড় পাথর দীর্ঘদিন ধরে কিডনির একটি অংশে আটকে আছে এবং কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গেছে।”
তাই কিডনিতে পাথর হলে শুধু ব্যথার বিষয়টি নয়, প্রস্রাবের গুণগত পরিবর্তন, জ্বর, দুর্বলতা, খিদে কমে যাওয়া—সবকিছুকে গুরুত্ব দিতে হবে।
কেন হয় কিডনিতে পাথর?
বিশেষজ্ঞদের মতে, কিডনিতে পাথর হওয়ার পেছনে অনেকগুলো কারণ কাজ করে। যেমন পর্যাপ্ত পানি না খাওয়া, বেশি প্রোটিন বা নুন খাওয়া, বংশগত প্রবণতা, অতিরিক্ত ক্যালসিয়ামযুক্ত সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ, স্থূলতা, নির্দিষ্ট কিছু ওষুধ, অথবা দীর্ঘদিন ধরে ইউরিনারি ইনফেকশন। যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটি স্কুল অব মেডিসিন-এর ইউরোলজিস্ট ডা. লরা পেরেজ বলেন, "কিডনিতে পাথর হওয়ার সবচেয়ে সাধারণ কারণ হলো পানি কম খাওয়া। যখন প্রস্রাব ঘন হয়ে যায় এবং শরীর থেকে প্রয়োজনীয় পানি ঠিকমতো বেরিয়ে না যায়, তখন পাথরের উপাদানগুলো একসঙ্গে জমে পাথর তৈরি করে।”
তাই প্রতিদিন অন্তত ২ থেকে ৩ লিটার পানি খাওয়া উচিত, যাতে কিডনি ঠিকমতো কাজ করতে পারে এবং পাথর হওয়ার ঝুঁকি কমে যায়।
কিডনিতে পাথর হওয়া একটি যন্ত্রণাদায়ক ও অস্বস্তিকর রোগ। একে অবহেলা করলে বড় বিপদ হতে পারে, এমনকি কিডনি অকার্যকরও হয়ে যেতে পারে। তাই এই রোগের প্রাথমিক লক্ষণগুলো জানা খুবই জরুরি। পিঠে বা তলপেটে তীব্র ব্যথা, প্রস্রাবে রক্ত বা জ্বালা, ঘন ঘন প্রস্রাবের ইচ্ছা, বমি ভাব—এই উপসর্গগুলো দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
বিদেশি গবেষকেরা যেভাবে বারবার বলছেন—প্রচুর পানি খাওয়া, স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া ও নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো—এই তিনটি অভ্যাস কিডনির পাথর প্রতিরোধে সবচেয়ে কার্যকর উপায়।
কিডনি আমাদের শরীরের খুবই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এটি রক্ত পরিশোধন করে, বর্জ্য পদার্থ প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে বের করে দেয় এবং শরীরের পানির ভারসাম্য ঠিক রাখে। কিন্তু অনেক সময় কিডনির ভেতরে পাথর তৈরি হয়। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় একে বলা হয় "কিডনি স্টোন" বা "রেনাল ক্যালকুলাই"। এই পাথরগুলো সাধারণত ক্যালসিয়াম, অক্সালেট ও ইউরিক অ্যাসিড জাতীয় পদার্থ দিয়ে তৈরি হয়। যখন এই পদার্থগুলোর পরিমাণ প্রস্রাবে বেশি হয়ে যায় এবং তা পানি দিয়ে ঠিকভাবে গলে যেতে না পারে, তখন তা জমে জমে পাথর তৈরি করে।
এই পাথর ছোট হলে হয়তো আপনি টেরও পাবেন না। কিন্তু যখন পাথরটা বড় হতে থাকে কিংবা কিডনির ভেতর থেকে ইউরেটারে (প্রস্রাবের পথ) নেমে যায়, তখন অসহ্য যন্ত্রণা শুরু হয়। অনেক সময় এই যন্ত্রণা এতটাই তীব্র হয় যে রোগী ব্যথায় ছটফট করতে থাকে, মেঝেতে গড়াগড়ি দেয়, ঠিক মতো দাঁড়াতে বা বসতে পারে না।
কীভাবে বুঝবেন কিডনিতে পাথর হয়েছে?
কিডনিতে পাথর হলে একাধিক লক্ষণ দেখা দেয়। তবে লক্ষণগুলো ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হতে পারে, বিশেষ করে পাথরের অবস্থান, আকার ও সংখ্যার ওপর নির্ভর করে। সবচেয়ে সাধারণ এবং উল্লেখযোগ্য লক্ষণ হলো হঠাৎ তীব্র ব্যথা—যাকে বলা হয় “রেনাল কোলিক”। সাধারণত এই ব্যথা পিঠের নিচের দিকে, পাশে, অথবা তলপেটের এক পাশে শুরু হয় এবং ধীরে ধীরে তলপেট ও যৌনাঙ্গের দিকে ছড়িয়ে পড়ে। এই ব্যথা কখনও স্থায়ী হয় না, ওঠানামা করে, মাঝে মাঝে খুব বেশি বেড়ে যায়।
এই ব্যথার ধরন এমন যে অনেক রোগী মনে করেন, হয়তো তাদের অ্যাপেনডিসাইটিস হয়েছে বা প্রসব বেদনা শুরু হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ডায়াবেটিস অ্যান্ড ডাইজেস্টিভ অ্যান্ড কিডনি ডিজিজেস (এনআইডিডিকেডি) জানিয়েছে, "একটা কিডনি স্টোন যখন ইউরেটারে চলে যায়, তখন এটি মূত্রপ্রবাহের পথ আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করতে পারে। ফলে প্রচণ্ড ব্যথা, প্রস্রাবে রক্ত, বমি ভাব ও অন্যান্য উপসর্গ দেখা দেয়।”
অন্য লক্ষণগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো প্রস্রাব করার সময় জ্বালাপোড়া। অনেকেই জানান, তারা প্রস্রাবের সময় আগুনের মতো জ্বালা অনুভব করেন, এবং মনে হয় পুরো মূত্রনালী পুড়ছে। এছাড়া প্রস্রাবে রক্ত দেখা যেতে পারে। কখনো তা খালি চোখে বোঝা যায়, আবার কখনো পরীক্ষায় ধরা পড়ে। রক্তের কারণে প্রস্রাব লালচে, বাদামি বা গোলাপি রঙের হয়ে যেতে পারে।
একই সঙ্গে প্রস্রাব করার ইচ্ছা খুব ঘন ঘন হতে পারে। যদিও পরিমাণে খুব কম প্রস্রাব হয়। অনেক রোগীর ক্ষেত্রে প্রস্রাবে দুর্গন্ধ বা ঘোলা ভাব দেখা যায়, যা ইঙ্গিত করে ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন (ইউটিআই)-এর প্রতি। এমনকি কারও কারও ক্ষেত্রে জ্বর ও কাঁপুনিও শুরু হয়, বিশেষত যখন পাথরের কারণে কিডনিতে সংক্রমণ হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের মায়ো ক্লিনিক-এর ইউরোলজিস্ট ডা. রবার্ট স্যান্তেলা বলেন, "রোগীরা পেছনের নিচের দিকে হঠাৎ একটি ধারালো, কুঁচকানো ব্যথা অনুভব করেন, আমাদের প্রথম সন্দেহ হয় কিডনিতে পাথর হয়েছে কি না। অনেকেই ভেবেই নেন যে হয়তো পেশির টান বা অন্য কিছু, কিন্তু কিডনির পাথর এক ধরণের স্বতন্ত্র ব্যথা তৈরি করে—যা অন্য কিছুতে হয় না।”
বমি ভাব ও বমিও কিডনিতে পাথরের আরেকটি লক্ষণ। যেহেতু শরীর ব্যথার প্রতিক্রিয়ায় এক ধরনের স্নায়বিক উত্তেজনায় পড়ে, তাই অনেক সময় বমি ভাব, মাথা ঘোরা কিংবা হজমের গোলমাল দেখা দিতে পারে। অনেক রোগী খাওয়ার ইচ্ছা হারিয়ে ফেলেন।
অনেক সময় পাথর দীর্ঘদিন ধরে কিডনিতে পড়ে থাকে এবং কোনো উপসর্গই দেখা দেয় না। এই ধরণের পাথর সাধারণত ছোট আকারের হয় এবং ধীরে ধীরে শরীর থেকে বেরিয়ে যেতে পারে। কিন্তু বড় আকারের পাথর থেকে গেলে তা ইউরিনারি ট্র্যাক্ট বন্ধ করে দিতে পারে, যা কিডনির কার্যক্ষমতাকেই নষ্ট করে দিতে পারে।
ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, সান ফ্রান্সিসকো-এর কিডনি বিশেষজ্ঞ ডা. লুইস হারম্যান বলেন, "রোগীরা অনেক সময় এক বছর ধরে অসুস্থ বোধ করেন, কিন্তু তারা বুঝতেই পারেন না সমস্যাটা কোথায়। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর দেখা যায়, একটি বড় পাথর দীর্ঘদিন ধরে কিডনির একটি অংশে আটকে আছে এবং কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গেছে।”
তাই কিডনিতে পাথর হলে শুধু ব্যথার বিষয়টি নয়, প্রস্রাবের গুণগত পরিবর্তন, জ্বর, দুর্বলতা, খিদে কমে যাওয়া—সবকিছুকে গুরুত্ব দিতে হবে।
কেন হয় কিডনিতে পাথর?
বিশেষজ্ঞদের মতে, কিডনিতে পাথর হওয়ার পেছনে অনেকগুলো কারণ কাজ করে। যেমন পর্যাপ্ত পানি না খাওয়া, বেশি প্রোটিন বা নুন খাওয়া, বংশগত প্রবণতা, অতিরিক্ত ক্যালসিয়ামযুক্ত সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ, স্থূলতা, নির্দিষ্ট কিছু ওষুধ, অথবা দীর্ঘদিন ধরে ইউরিনারি ইনফেকশন। যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটি স্কুল অব মেডিসিন-এর ইউরোলজিস্ট ডা. লরা পেরেজ বলেন, "কিডনিতে পাথর হওয়ার সবচেয়ে সাধারণ কারণ হলো পানি কম খাওয়া। যখন প্রস্রাব ঘন হয়ে যায় এবং শরীর থেকে প্রয়োজনীয় পানি ঠিকমতো বেরিয়ে না যায়, তখন পাথরের উপাদানগুলো একসঙ্গে জমে পাথর তৈরি করে।”
তাই প্রতিদিন অন্তত ২ থেকে ৩ লিটার পানি খাওয়া উচিত, যাতে কিডনি ঠিকমতো কাজ করতে পারে এবং পাথর হওয়ার ঝুঁকি কমে যায়।
কিডনিতে পাথর হওয়া একটি যন্ত্রণাদায়ক ও অস্বস্তিকর রোগ। একে অবহেলা করলে বড় বিপদ হতে পারে, এমনকি কিডনি অকার্যকরও হয়ে যেতে পারে। তাই এই রোগের প্রাথমিক লক্ষণগুলো জানা খুবই জরুরি। পিঠে বা তলপেটে তীব্র ব্যথা, প্রস্রাবে রক্ত বা জ্বালা, ঘন ঘন প্রস্রাবের ইচ্ছা, বমি ভাব—এই উপসর্গগুলো দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
বিদেশি গবেষকেরা যেভাবে বারবার বলছেন—প্রচুর পানি খাওয়া, স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া ও নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো—এই তিনটি অভ্যাস কিডনির পাথর প্রতিরোধে সবচেয়ে কার্যকর উপায়।
মারাঠা আক্রমণের পেছনে দুটি মূল কারণ ছিল—প্রথমত, অর্থনৈতিক লোভ এবং দ্বিতীয়ত, রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তারের ইচ্ছা। মারাঠা বাহিনী চেয়েছিল বাংলার ধন-সম্পদ দখল করতে এবং মুঘলদের দুর্বলতা কাজে লাগিয়ে পূর্বভারতে নিজেদের শক্তি বাড়াতে।
২১ ঘণ্টা আগেগত বছরের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে দেশের নারীরা গৌরবময় ভূমিকা রেখেছেন৷ তারা রাজপথে লড়াই করেছেন৷ মিছিলের সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, জীবন দিয়েছেনও অনেকে৷ কিন্তু সেই নারীরা যে বৈষম্যহীন সমাজের স্বপ্ন দেখেছিলেন তা এখন হতাশায় পরিণত হয়েছে৷
১ দিন আগেদক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে, বিশেষ করে ভারত ও পাকিস্তানে আমকে কেন্দ্র করে কূটনীতি ও পরস্পরের মধ্যে বাণিজ্য প্রতিযোগিতা অবশ্য নতুন কিছু নয়। দিল্লি ও ইসলামাবাদ দীর্ঘদিন ধরেই নিজেদের সেরা জাতের আম বিশ্বনেতাদের উপহার দিয়ে আসছে।
২ দিন আগেগ্রামীণফোন, রবি, বাংলালিংক কিংবা টেলিটক—স্বয়ংক্রিয়ভাবে এই ইন্টারনেট সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন।
২ দিন আগে